ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রহমতগঞ্জ-মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচ অমীমাংসিত

দুই ‘রাকিব’-এ ড্র মোহামেডান চট্টগ্রাম আবাহনীর

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দুই ‘রাকিব’-এ ড্র মোহামেডান চট্টগ্রাম আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে দারুণ এক ঘটনাবহুল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ উপভোগ করেছেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা ফুটবল অনুরাগীরা। চরম উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১-১ গোলে ড্র করেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে। মজার ব্যাপার- দুই দলের গোলদাতাই মিডফিল্ডার এবং দুজনের নামই রাকিব! গোল করেন চট্টলা আবাহনীর রাকিব হোসেন (১৫ মিনিটে) এবং মোহামেডানের সাঈদ রাকিব খান। নিজেদের দশম ম্যাচে এটা মোহামেডানের চতুর্থ ড্র। টানা তিন ম্যাচে জেতার পর ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম। সাইফকে টপকে এক ধাপ ওপরে উঠল তারা। সমান খেলায় সাইফেরও সমান পয়েন্ট। তবে গোলগড়ে এগিয়ে থাকায় সাদা-কালোরাই আছে ওপরে। পক্ষান্তরে এক ম্যাচ বেশি খেলা ‘ব্লু পাইরেটস’ খ্যাত চট্টগ্রাম আবাহনীরও এটা চতুর্থ ড্র। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে সাতে। টানা দুই ম্যাচ জেতার পর পয়েন্ট খোয়াল বন্দরনগীর দল ও রিগে একবারের রানার্সআপ এই দলটি। মোহামেডানের টিম লিডার আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর টিম ম্যানেজার আরমান আজিজ মাঠে অশোভন আচরণ করায় লাল কার্ড পেয়ে বহিষ্কৃত হন। ম্যাচের ৬৭ মিনিটের সময় মোহামেডানের একটি থ্রো সরাসরি আবাহনীর খেলোয়াড়ের গায়ে করলে রেফারি সেটা ফাউল দেন। এজন্য মোহামেডানের ক’জন খেলোয়াড় রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে আবাহনী ম্যানেজার মোহামেডানের সীমানায় এসে রেফারির উদ্দেশ্যে কিছু বলতে গেলে মোহামেডানের আজিজ উঠে এসে তাকে ধাক্কা দেন। ফলে হাতাহাতি কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে রেফারি প্রিন্স-আজিজ উভয়কেই লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বহিষ্কার করেন। দুই বারের লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। নব্বই দশকে তাদের খেতাব ছিল ‘ড্রিম টিম’। সময়ের পরিক্রমায় সেই দলটির শক্তি কমে গেছে অনেক। তারই নমুনা দেখা গেল শুক্রবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে তারা এগিয়ে গিয়েও হতাশাজনক ড্র করেছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সঙ্গে। খেলার স্কোরলাইন ছিল ১-১। চলতি লীগে ‘দ্য রেডস’ খ্যাত মুক্তিযোদ্ধার এটা টানা দ্বিতীয় ড্র। এই ড্র’তে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকের এই দুই দল আগের অবস্থানেই রয়ে গেল। ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে নয়ে আছে ‘জায়ান্ট কিলার’ এবং ১৯৭৭ সালের লীগের রানার্সআপ রহমতগঞ্জ। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোলগড়ে পিছিয়ে তাদের একধাপ নিচে আছে মুক্তিযোদ্ধা। রহমতগঞ্জের আরফাত হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধার মাহাদুদ হোসেন ফাহিম একটি করে গোল করেন।পয়েন্ট টেবিলে নিচের সারিতে অবস্থান করলেও তাই শুক্রবার এই দুই দলের লড়াইটা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে দারুণ চমক দেখায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। প্রিমিয়ার লীগে চলতি মৌসুমের দ্রুততম গোলে ম্যাচে গোল করে এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের তখন মাত্র ২৩ সেকেন্ড, বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক থ্রু পাস দেন মুক্তির জাপানী ফরোয়ার্ড ইউসুকে কাতো। বক্সে চলন্ত বলে পা ছুঁইয়ে দিয়ে বল জালে পাঠান স্থানীয় ডিফেন্ডার মাহাদুদ হোসেন ফাহিম (১-০)। ১৬ মিনিটে বা প্রান্তে রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার মাহমুদুল হাসান কিরণের কর্নারে বক্সে তার সতীর্থরা বল পাবার আগেই হেডে ক্লিয়ার করেন ইউসুকে কাতো। ২১ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে মেহেদীর লং থ্রুতে বক্সে রয়েলের ব্যকহেড জড়ায়নি জালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই ম্যাচে সমতা আনতে সক্ষম হয় জায়ান্ট কিলার খ্যত পুরান ঢাকার দল রহমতগঞ্জ। ৫৬ মিনিটে দলকে ম্যাচে ফেরান আরাফাত। ডান প্রান্ত থেকে দারুণ ক্রসে বক্সে বল পাঠান মিসরীয় ডিফেন্ডার আলেদিন আলা নাসের। বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে মুক্তিযোদ্ধার জালে পাঠিয়ে দেন মিডফিল্ডার আরফাত হোসেন (১-১)।
×