ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামীর পরকিয়ায় অতিষ্ট হয়ে স্ত্রী কেটে দিয়েছে পরনারীর আসক্ত স্বামীর যৌনাঙ্গ

প্রকাশিত: ২১:১০, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

স্বামীর পরকিয়ায় অতিষ্ট হয়ে স্ত্রী কেটে দিয়েছে পরনারীর আসক্ত স্বামীর যৌনাঙ্গ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ মন্ডলেরহাট গ্রামে আজ বৃহস্পবিার সকাল ১০ টায় স্ত্রী খাদিজা বেগম(২০) স্বামী রাসেল মিয়া(৩০) এর যৌনাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দিয়েছে। রক্তাক্ত রাসেল মিয়াকে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। তার অবস্থা অত্যন্ত আশস্কা জনক। পুলিশ খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনা স্থল হতে স্ত্রী খাদিজা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সদর থানায় নিয়ে এসেছে। এই ঘটনাটি গ্রামটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এই দম্পতির ঘরে দুই বছরের এক কন্যা শিশু রয়েছে। সদর থানা পুলিশ, গ্রামবাসী ও পারিবারিক র্সত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ মন্ডলেরহাট গ্রামের শাহাজাহান আলীর ছেলে রাসেল মিয়া (৩০) সাথে পাশ্ববর্তী গ্রামের মেয়ে খাদিজা বেগমের সাথে পারিবারিক ভাবে প্রায় আড়াই বছর আগে বিয়ে হয়। এই দম্প্রতির কোল জুড়ে আসে ফুলফুটে এক কন্যা শিশু । শিশুটির বয়স এখন দুই বছর। বিয়ের পরপরে ভালই চলছিল সংসার। দুই বছর আগে রাসেলের স্ত্রী অন্তস্বত্তা হয়। তখন রাসেলের স্ত্রীর প্রতি আর্কষন কমতে থাকে। শুরু হয়ে যায় অবহেলা। এই নিয়ে শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা ও দ্বন্দ। স্ত্রী স্বামীর এমন হঠাৎ রুঢ় আচরণের কারণ খুঁজতে গিয়ে বুঝতে পারে প্রতিবেশী এক নারীর সাথে তার স্বামীর অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই তাঁকে অবহেলা ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করে থাকে। সামান্য পান হতে চুন খসলে শুরু হয় তার উপর নির্মম নির্যাতন। স্বামী পরকিয়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর এই পারিবারিক দ্বন্দ প্রতিবেশীরা জেনে যায়। বেশ কয়েকবার স্বামীকে পরকিয়ার হতে বিরত রাখতে পারিবারিক ও প্রতিবেশীদের নিয়ে গ্রাম্যভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তবুও স্বামী কে পরকিয়া হতে ফেরাতে পারেনি। এই পরকিয়ার জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলোহের সৃষ্টি হয়। স্বামী স্ত্রীকে বেধরক মারপিট ও নির্মম নির্যাতন করে। নির্যাতনে এক পর্যায়ে বটি দিয়ে স্ত্রীকে কুপাতে যায়। নিজেকে বাঁচাতে স্ত্রী খাদিজা স্বামীর হাতের বটি কেড়ে নিয়ে এলোপাতারি কোপ দিলে স্বমীর যৌনাঙ্গ (লিঙ্গ) কেটে মাটিতে পড়ে যায়। কাটা লিঙ্গের তীব্র যন্ত্রনা ও রক্তপাতের রাসেল মিয়া ঘটনা স্থলে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায়। তার অবস্থা খুবই আশংকাজনক। ঘটনাটি শুনে সদর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখান হতে দুপুরে স্ত্রী খাদিজা বেগমকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সদর থানার ওসি শাহ আলম জানান, রাসেলের স্ত্রী খাদিজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা খাদিজা জানায়, তার স্বামী পরনারীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে তার ওপর কারণে অকারণে নির্মম অত্যাচার করে থাকে। এই ঘটনার জের ঘওে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
×