ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা আবাহনী ১-০ বাংলাদেশ পুলিশ

ঘাম ঝরানো জয়ে মিশন শুরু আবাহনীর

প্রকাশিত: ০০:৩৩, ১৫ জানুয়ারি ২০২১

ঘাম ঝরানো জয়ে মিশন শুরু আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পেশাদার ফুটবল লীগ শুরু হয় ২০০৭ সাল থেকে। আগের ১২টি আসরের মধ্যে (গত মৌসুমে ৩৬ ম্যাচ হয়ে করোনার কারণে পরিত্যক্ত হয়)। সবচেয়ে বেশিবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড (৬ বার, তবে ঢাকা লীগ, বি-লীগ ও পেশাদার লীগ মিলিয়ে এখনও সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ১৯ বার, ১৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে দুইয়ে আছে আবাহনী)। লীগে তারা সর্বশেষ শিরোপা জিতেছে ২০১৭-১৮ মৌসুমে। পরের মৌসুমে তাদের দুই নম্বরে ঠেলে দিয়ে আবির্ভাবেই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বসুন্ধরা কিংস। এই নতুন পরাশক্তির আত্মপ্রকাশের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন শিরোপাই (১টি লীগ, ১টি স্বাধীনতা কাপ ও ২টি ফেডারেশন কাপ) জিততে পারেনি ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী। এবারের মৌসুমসূচক ফুটবল আসর ফেডারেশন কাপের সেমিতে কিংসের কাছেই হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আবাহনীর। তবে দুই মৌসুম পর আবারও লীগের শিরোপা পুনরুদ্ধারে মরিয়া তারা। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম লীগ ম্যাচে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। তাদের অনেক কষ্টে ১-০ গোলে হারিয়ে স্বস্তির জয়ে মিশন শুরু করেছে মারিও লেমোসের শিষ্যরা। খেলার প্রথমার্ধে কোন গোল হয়নি। কাফ ইনজুরির কারণে প্রায় এক মাসের জন্য ছিটকে গেছেন রায়হান হাসান। ম্যাচে তার লম্বা থ্রোয়ের অভাব অনুভব করেছে আবাহনী। প্রথমার্ধে তাদের খেলায় ছন্দের অভাব দেখা গেছে। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত আক্রমণ ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেনি। বিরতির পর খেলার ধরন পাল্টে ফেলে আবাহনী। চেষ্টা করে গোছানো ফুটবল খেলতে। কিন্তু পুলিশের শক্ত প্রতিরোধের মুখে তাদের সেই প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ছিল বারবার। ছোট ছোট পাসে খেলে দূর থেকে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে শট নেয়ার কৌশল অবলম্বন করে তারা। কিন্তু তাতেও সুফল মিলছিল না। আবাহনীর বিদেশীদের মধ্যে আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানিই যা একটু ভাল খেলেন। এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে আবাহনীর জার্সিতে খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা এবং মিডফিল্ডার সোহেল রানা। এদিকে ইনজুরির জন্য ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার রায়হান হাসান ও মিডফিল্ডার জুয়েল রানা। পুলিশের বিপক্ষে আবাহনীর যে দলটি খেলে সেটা অভিজ্ঞ হলেও খেলোয়াড়দের গড় বয়সও ছিল বেশি (৩০-এর ওপরে)। এগুলোর প্রভাবই পড়েছে আবাহনীর খেলাতে। ৮০ মিনিটে আবাহনীকে হতাশ করে পোস্ট। লেফটব্যাক ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে নাসির উদ্দিন চৌধুরী ব্যাক হেড করেন। এরপর সাইঘানির হেড গোলরক্ষক নেহালের হাতে লেগে পোস্টে লাগে। সামনে বল পড়লে সাইঘানি আবার যে শট নেন তা বাইরে দিয়ে চলে গেলে হতাশায় পোড়ে আবাহনী। অবশেষে ৮৬ মিনিটে রক্ষণের ফাঁক পেয়েই প্রথম গোলটা আদায় করে নেয় আবাহনী। গোল পেয়ে স্বস্তি ফিরে পায় তারা। রুবেল মিয়ার ক্রসে ফরোয়ার্ড-অধিনায়ক নাবিব নেওয়াজ জীবনের পা ছুঁয়ে বল যায় কারভেন্স ফিল্স বেলফোর্টের কাছে। তার নেয়া শট প্রথমে পুলিশের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লাগে। এরপর ডান পায়ে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন হাইতিয়ান এ ফরোয়ার্ড (১-০)। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই জয় ও তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয় আবাহনীর।
×