ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভৈরব মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশিত: ২০:২০, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

ভৈরব মুক্ত দিবস আজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ১৮ ডিসেম্বর ॥ ১৯ ডিসেম্বর ভৈরব মুক্ত দিবস। ৩৯ বছর আগে একাত্তরের এই দিনে নদী বন্দর ভৈরবে পাক হানাদার বাহিনী অসংখ্য নারী-পুরুষ, আবালবৃদ্ধবনিতাকে হত্যা, মা-বোনদের ইজ্জত লুট ও ভৈরব বাজার ও গ্রামগুলোকে জ্বালিয়ে দিয়ে নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেনি। অবশেষে তারা মিত্রবাহিনী ও ভৈরবের দামাল ছেলেদের হাতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। পাক হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে সারাদেশের ন্যায় ভৈরবেও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তাদের দোসর আলবদর, রাজাকার ভৈরব বাজারের তিন ভাগের দুইভাগ জ্বালিয়ে এবং ব্যবসায়ীদের সিন্দুক ভেঙ্গে টাকা পয়সা ও মালামাল লুট করে এবং ভৈরবের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে ধরে এনে হত্যা করে লাশ গুম করে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহীদ হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতুর পূর্ব পার্শ্বের একটি স্প্যান ও পশ্চিম পার্শ্বের দুইটি স্প্যান ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে মিত্রবাহিনীর অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার নিষ্ক্রিয় প্রয়াস চালানো হয়। পাকহানাদার বাহিনী ভৈরবের রাজাকারদের সহযোগিতায় মুক্তিকামী মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ভৈরবে প্রায় সহস্র্রাধিক মানুষ হত্যা করে। হত্যা করে মুক্তিযোদ্ধা। হানাদার বাহিনীর হাতে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণ রাখতে ভৈরব দুর্জয় মোড়ে বানানো হয়েছে স্মৃতি ভাস্কর্য। পানাউল্লাহর চরে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর ধারে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ। প্রথম অবস্থায় যেসব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের ধ্বংসপ্রাপ্তের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল পরবর্তীতে তাদের মালামাল লুট করে জ্বালিয়ে দিয়ে এবং আবাসিক এলাকার ঘর বাড়ির থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেন।
×