স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরের শ্রীপুরে বুধবার এক কিশোর কুপিয়ে তার মাকে খুন করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের নাম রেহেনা খাতুন (৪৫)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বলদী সোনাবো পশ্চিম পাড়ার আদুরভিটি এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
শ্রীপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান জানান, বুধবার সকাল পৌণে ১১টার দিকে বাড়ির উঠানে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন রেহেনা খাতুন। এসময় পাশে বসে ডাব খাচ্ছিল তার ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৬)। হঠাৎ আরাফাত দা’দিয়ে তার মাকে ঘাড় ও দু’হাতসহ শরীরের বিভিন্নি স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। দায়ের কোপে রেহেনার বাম হাতের কব্জির উপর প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে চামড়ার সাথে ঝুলে থাকে। এতে গুরুতর আহত হয়ে রেহেনা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
প্রতিবেশীরা এগিয়ে রেহেনাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায়। এলাকাবাসি নিহতের ছেলেকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এসময় এলাকাবাসি আটক ইয়াসিন আরাফাতকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। গত দু’বছর ধরে সে মানসিক অসুস্থ্যতায় ভুগছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।
আটক ইয়াসিন আরাফাত জানায়, মায়ের আত্মার শান্তির জন্য তাকে খুন করা হয়েছে। তবে মা’র জন্য খুব কষ্ট লাগছে। কাওরাইদ ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম ঢালীসহ নিহতের স্বজনরা জানান, ইয়াসিন আরাফাত স্থানীয় বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। গত কিছুদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিল। ঘটনার সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: