ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নওশাবার নতুন ছবি

প্রকাশিত: ২০:২৫, ৯ নভেম্বর ২০২০

নওশাবার নতুন ছবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের নতুন ছবির শূটিং শুরু হয়েছে শুক্রবার। চা শ্রমিকদের জীবনের গল্প নিয়ে ‘ছায়াবৃক্ষ’ নামের এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন বন্ধন বিশ্বাস। চট্টগ্রামের কোদালা চা বাগানে এ ছবির শূটিং চলবে একটানা ২০ দিন। নওশাবা জানান, এই ছবির পুরোটাজুড়ে থাকবে চা শ্রমিকদের জীবনের গল্প। যে গল্পের প্রধান জুটি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন অপু বিশ্বাস ও নিরব হোসাইন। অন্যদিকে নওশাবার বিপরীতে নায়ক হিসেবে থাকছেন ছোট পর্দার সুমিত। সরকারী অনুদান পাওয়া এই ছবির অন্যান্য চরিত্রে আরও আছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, সুস্মি রহমান, ইকবাল আহমেদ, বড়দা মিফু, রানা প্রমুখ। নওশাবা বলেন, সময় খুব কম পেয়েছি প্রস্তুতির। ৩ নবেম্বর চুক্তিবদ্ধ হই। ৫ নবেম্বর চট্টগ্রামে চলে আসি। ৬ তারিখ থেকে টানা শূটিং হচ্ছে। ফলে চলতি পথেই ইউটিউব দেখে খানিক অভিজ্ঞতা নিতে হলো চা শ্রমিকদের। এখানে এসেও চেষ্টা করছি সরাসরি ওদের কাছ থেকে শেখার। আমি আসলে কাজটি নিয়ে রোমাঞ্চিত। আবার বিষণ্ণও। কারণ শ্রমিকদের এই কষ্টের জীবন অমানবিক। নওশাবার মুক্তি পাওয়া ছবির সংখ্যা তিন- ‘ঢাকা এ্যাটাক’, ‘স্বপ্নের বাড়ি’ ও ‘ভুবন মাঝি’। আবার মুক্তির মিছিলে থাকা ছবির সংখ্যাও একই ‘আলগা নোঙর’, ‘চন্দ্রাবতী’ ও ‘নাইনটি নাইন ম্যানশন’। নওশাবা বলেন, এর আগে আমি যে কটা ছবি করেছি তার সবই ছিল চেনা-জানা পরিবেশের মধ্যে। চরিত্রগুলোও অলমোস্ট জানা ছিল। তবে এবারই প্রথম কাজ করছি পুরোপুরি এফডিসি ঘরানার ইউনিটে। বন্ধন দা সেখানকার নামকরা একজন নির্মাতা। ফলে এই বিষয়টি আমার জন্য আনন্দের এবং চ্যালেঞ্জেরও। উনাদের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কাজটি সঠিকভাবে শেষ করতে চাই। ‘ছায়াবৃক্ষ’তে নওশাবাকে দেখা যাবে একসঙ্গে দুটি চরিত্রে। রোজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চা পাতা তোলেন। সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় সারারাত তাকে নাচতে হয় ম্যানেজারের ঘরে। এভাবে একটা সময় নওশাবা স্বপ্ন দেখেন চা বাগানের জাল ছিঁড়ে বড় নৃত্যশিল্পী হওয়ার। কিন্তু সেই জাল ছেঁড়া তো সহজ কাজ নয়। নওশাবা বলেন, ‘১৯২১ সাল থেকে এই শ্রমিকরা যে আন্দোলন শুরু করেছে তা ভেতরে ভেতরে আজও বহমান। ৪০ টাকায় শুরু করে এখন তাদের শ্রমমূল্য ১২০ টাকা। নেই পড়াশুনার সুযোগ। পুরো অন্ধকার একটা জীবন। আমার চরিত্রটি সেই অন্ধকার ভেদ করতে চায় নাচের মাধ্যমে। চিত্রনাট্যে এমনটাই আছে, পর্দায় কতটা দেখাতে পারি সেটাই বিষয়।
×