ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

প্রকাশিত: ২০:২১, ৩১ অক্টোবর ২০২০

শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তিন দফা দাবিতে আজ (শনিবার) দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে। এর আগে মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খান এর অনৈতিক ও হীন কর্মকাণ্ডের জন্য ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি ও কর্মবিরতিপত্র জমা দেয়। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তারা গণমাধ্যমে আলাদাভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলো হলো- ১. ডা. মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে বন্ধ করা, ২. ডা. মাসুদ খান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা, ৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারিত অসত্য বক্তব্যের জন্য তাদের যে মানহানি হয়েছে তার বিচার করা। এর আগে গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর রেজিস্ট্রার ডা. মো. মাসুদ খান শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরদিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সর্বশেষ ৩০ অক্টোবর ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার পূর্বে এ খবর জানতে পেরে ২৯ অক্টোবর দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এবং আড়াইঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করে। এই বিষয়ে জানতে ডা. মাসুদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দেড়শ ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন এবং তাদের কর্মবিরতিতে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ রোগীরা।
×