ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিয়ের ‘নাটক’ সাজিয়ে নারীকে হেনস্তা, অভিযোগের তীর এএসআইয়ের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ৪ মে ২০২৪

বিয়ের ‘নাটক’ সাজিয়ে নারীকে হেনস্তা, অভিযোগের তীর এএসআইয়ের বিরুদ্ধে

হরিরামপুর থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আকবর আলী খন্দকার

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আকবর আলী খন্দকারের বিরুদ্ধে ভুয়া কাজি ও ভুয়া কাবিননামায় পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে বিয়ে করে দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে স্ত্রী পরিচয়ে শারিরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে আকবর আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

আকবর আলী খন্দকার রংপুর জেলার বাসিন্দা। ২০০৫ সালে তিনি পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘প্রতারণা করে আমার কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। নিজের বিয়ের কথা গোপন রাখেন। বিয়ের আগে আমার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করে তিনবার এবং সিটি ড্রিম অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারের আবাসিক হোটেলে নিয়ে একবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরবর্তীতে ভুয়া কাজি দিয়ে, ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর করে বিয়ে করেন। এখন বলছেন, তুমি আমার স্ত্রী না। আমি স্ত্রী হিসেবে আকবর আলীর কাছ থেকে স্বীকৃতি চাই।’

ওই নারী বলেন, ‘আমি অভিযোগ করা থেকে শুরু করে মামলা করার পর তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন।’

এ বিষয়ে হরিরামপুর থানায় কর্মরত আকবর আলী খন্দকার বলেন, ‘ওই নারী পুলিশ সুপার কার্যালয় বরাবর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করার পর তদন্তাধীন আছে। সেখানকার তদন্ত ওই নারীর পছন্দ না হওয়ায় লিগ্যাল এইড অফিসে গেছেন। লিগ্যাল এইড অফিসে কোনো প্রকার সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করতে না পারায় মুখে মুখে বলতেছেন। এখন গেছেন আদালতে, আদালতের পরে হয়তো তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন। একেক জায়গায় এক রকমের অভিযোগ দিচ্ছেন। এই ধরনের ঘটনার কোনো ধরনের সত্যতা নাই।’ 

তবে, একটি মামলার তদন্তের স্বার্থে ওই নারীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল বলে জানান হরিরামপুর থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আকবর আলী খন্দকার।

মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আলাদাভাবে তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই নারী পুলিশ সুপার বরাবর যে অভিযোগ করেছেন, তার তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এবি

×