ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাইজিরিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ॥ নিহত ২০

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ২২ অক্টোবর ২০২০

নাইজিরিয়ায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ॥ নিহত ২০

নাইজিরিয়ার বৃহত্তম শহর লাগোসে পুলিশী বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গুলিতে নিহত ২০ এবং আহত অন্তত ৫০ জন। এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানিয়েছেন, সৈন্যরা গুলি করার পর তিনি প্রায় ২০টি মৃতদেহ ও অন্তত আহত ৫০ জন। মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও জানিয়েছে, তারাও মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন পেয়েছে। খবর এএফপির। নাইজিরিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছে, গুলিবর্ষণের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। লাগোস ও অন্যান্য অঞ্চলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ২৪ ঘণ্টার কার্ফ্যু জারি করা হয়েছে। নাইজিরিয়া পুলিশের স্পেশাল এ্যান্টি-রবারি স্কোয়াডকে (সার্স) নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিবাদ চলছিল। প্রতিবাদের মুখে ইতোমধ্যে পুলিশের এই ইউনিটকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লাগোসের অভিজাত লেক্কি শহরতলিতে উর্দি পরা লোকজন প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে। বিবিসির নাইজিরিয়া সংবাদদাতা নায়েনি জোন্সের পাঠানো প্রতিবেদনে গুলি করার কয়েক মুহূর্ত আগে সশস্ত্র সৈন্যদের প্রতিবাদের স্থানটি ঘিরে ফেলতে দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ফুটেজে প্রতিবাদকারীদের আহতদের পরিচর্যা করতে দেখা গেছে। অজ্ঞাতনামা এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, ‘আনুমানিক ৬টা ৪৫ মিনিটে সৈন্যরা অস্ত্র তুলে ধরে সরাসরি আমাদের দিকে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের দিকে গুলি করা শুরু করে। তারা গুলি করতে করতে সোজা আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমার পাশেই একজনের গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তাৎক্ষণিকে মধ্যে নরকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এ তা-ব চলে আর সৈন্যরা মৃতদেহগুলো নিয়ে যায়।’ সৈন্যরা চারদিকে ব্যারিকেড দেয়ায় এ্যাম্বুলেন্স প্রতিবাদ স্থলে পৌঁছতে পারেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের সার্স বাহিনীর বিরুদ্ধে অবৈধ আটক, মারধর ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে দুই সপ্তাহ আগে প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রতিবাদকারীরা বাহিনীটিকে ভেঙে দেয়ার দাবি জানায়। ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে ১১ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ বুহারি ইউনিটকে ভেঙে দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীতে আরও পরিবর্তন আনার পাশাপাশি দেশ যেভাবে চলছে তাতে সংস্কার আনার দাবি তোলে। অপরাধীরা প্রতিবাদটি ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ করেন লাগোসে রাজ্যের গবর্নর বাবাজিদে সানভো ওলু। রাজ্য গবর্নরের মুখপাত্র জিবোয়েগা আকোসিলে এক টুইটে বলেছেন, এন্ডসার্স প্রতিবাদের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অপরাধীদের, যারা নিরীহ নাগরিকদের ওপর দাঙ্গাহাঙ্গামা চাপিয়ে দিচ্ছিল, থামাতে লাগোস রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার কার্ফ্যু জারি করার পর লেক্কি টোল প্লাজায় গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
×