শহরে সবার বাড়িঘর নেই- তাই তো বাধ্য হয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন অনেক মানুষ। বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটেদের মাঝে মধুর সম্পর্ক সব সময় কল্পনা করা যায় না। বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জন্য একাধিক কারণ বিদ্যমান। বছর বছর ভাড়া বাড়ানোতে অধিকাংশ ভাড়াটিয়ার আপত্তি- একই স্থানে একেক রকম ভাড়া ভাড়াটিয়াদের মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। এটা ঠিক অনেক ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিকটির অন্যায়ের শিকার হয়ে থাকেন। আবার ভাড়াটিয়াও অনেক সময় নিরীহ বাড়ির মালিকের ওপর অবিচার করে। আসলে বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে সুসম্পর্ক উভয়ের ওপর নির্ভর করে- এটা একতরফা কোন ব্যাপার নয়।
বাড়ি ভাড়ার একটি নীতিমালা হওয়া প্রয়োজন- যেখানে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মাঝে একটি সুস্পষ্ট চুক্তিপত্র থাকবে। প্রতিবছর বাড়ি ভাড়া বাড়ানো হলে তার পরিমাণও সুনির্দিষ্ট থাকবে। অনেক সময় বাড়িওয়ালার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভাড়াটিয়া নানাভাবে বাড়ির মালিককে বিরক্ত করে। দেখা গেছে, অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছে করেই বাড়িঘর না করে আজীবন ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে জীবন কাটিয়ে দেয়। আমেরিকার সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশসমূহে মানুষ বাড়ি করে ভাড়া দেয়া অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে কারণ বিভিন্ন রকমের ট্যাক্স দিয়ে বাড়ি তৈরি করে ভাড়া দেয়া তেমনটা এখন আর লাভজনক নয়।
সন্দেহ নেই, গৃহ নির্মাণ করে ভাড়া দেয়া একটা ব্যবসা- এই ব্যবসা নগরীর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রকট আকার ধারণ করেছে। অসুবিধা সত্ত্বেও বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটের মধ্যে একটি সুসংযত নিয়মকানুন খুঁজে বের করা অতীব প্রয়োজন। বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন না হলে সর্বদাও একটি অস্বস্তিকর অবস্থা চলতেই থাকবে যা কোনক্রমেই কাম্য নয়। আমাদের উচিত পৃথিবীর লোক সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে- সেই লোক সংখ্যাকে ঠিক রাখতে হবে- আবার খাদ্যশস্যেরও যাতে কমতি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। মানুষ এখনই তো আর মঙ্গল গ্রহ কিংবা অন্য গ্রহে গিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করতে পারছে না। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
লেকসার্কাস, ঢাকা থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: