ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকি ও ঝক্কি

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২৭ আগস্ট ২০২০

ঝুঁকি ও ঝক্কি

করোনাকালে গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া জনসাধারণের জন্য সত্যিই এক হতাশাজনক সিদ্ধান্ত। আর্থিক সঙ্কটাপন্ন এ সময়ে চাপিয়ে দেয়া হলো নিদারুণ জটিলতা। দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে একজন কর্মহীন মানুষ যখন আর্থিক তাড়নায় রিজিকের খোঁজে বের হবে, ঠিক তখনই একচেটিয়াভাবে নৈরাজ্য ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বর্ধিত ভাড়ার ৬০ শতাংশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল দ্বিগুণ ভাড়া আদায় ব্যতীত স্বাস্থ্যবিধির কোনটিই তোয়াক্কা করেনি পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। স্যানিটাইজার ব্যবহার, এক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী বহন, প্রতি ট্রিপের পূর্বে যানবাহন জীবাণুমুক্তকরণ, যানবাহনের সিটকভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি শর্তের কোনটিই মানা হয়নি। এমনকি যাত্রীদের মুখে মাস্কসহ ও সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই বরং ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে একটি ধাতব রডের অবলম্বনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রা করছে। দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুসারে দেখা যায়, প্রয়োজনের তাগাদায় মানুষ গণপরিবহনে চড়তে বাধ্য; আর এই সুযোগে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা ফায়দা লুটছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্যের পাশাপাশি ৬০ শতাংশ ভাড়ার চেয়েও অতিরিক্ত ভাড়া নিঃশঙ্কোচেই আদায় করছে তারা। রেলে এ ধরনের অনিয়ম দৃষ্টিগোচর না হলেও রাজধানী ও আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং চার্জার ভ্যানগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রী তুলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে অতিবিড়ম্বনায় ফেলে দিয়েছে জনসাধারণকে; যাত্রীদের কেউ প্রতিবাদ করলে বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। প্রশাসন বিষয়টি বরাবরই এড়িয়ে যাচ্ছে। আড়াই মাসের লোকসান পোষাতে তাদের বেপরোয়া কার্যক্রম জনজীবনকে রীতিমতো বিপন্ন ও শঙ্কিত করে তুলেছে। সাবেক মন্ত্রী ও নেতা শাজাহান খান এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘বাস ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।’ কারণ হিসেবে তিনি বাস মালিকের টিকে থাকা, জ্বালানি খরচ ও স্টাফদের বেতন পরিশোধের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, জনগণ টিকবে কি করে? করোনা দুর্যোগে দেশে কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে; বেকারের সংখ্যাও বেড়েছে। পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও থেকে
×