ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের জালিয়াতির হোতাকে গ্রেফতারের দাবি

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ২২ জুলাই ২০২০

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের জালিয়াতির হোতাকে গ্রেফতারের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ার ও অর্থ হারিয়ে ঈদের আগে দিশেহারা ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীরা। ক্ষতিগ্রস্তরা অবিলম্বে কারসাজির নেপথ্যের নায়ক ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া হারানো পুঁজি দ্রুত ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তাও প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে চেয়েছেন। নইলে করোনাকালে মানবেতর জীবন যাপনের বিকল্প থাকবে না বলে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রাণঘাতী করোনা থাবা ও ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের প্রতারণাতে নিঃস্ব বিনিয়োগকারীরাও আরও নিঃস্ব হচ্ছেন। তবে সিকিউরিটিজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক পরিচালক গ্রেফতার হওয়ায় কিছুটা আশার আলো দেখছেন হাউসটিতে লগ্নিকারীরা। তাদের মতে, মহামারীর মধ্যে ক্রেস্টের মালিকপক্ষের টাকা সরিয়ে নেয়া মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ঘটেছে। হারানো টাকা ফেরত পেতে তারা শহীউল্লাহের পর ওয়াহিদুজ্জামানকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। তারা জানান, টাকা সরানোর মূল পরিকল্পনাকারী এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাকে গ্রেফতার না করলে টাকা উদ্ধার করা কঠিন। ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে বিও হিসাবধারী নাজির আহমেদ জানান, জালিয়াতির কারণে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হলেও তার ভাই ওয়াহিদুজ্জামান ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তিনিও বিনিয়োগকারীদের টাকা ও শেয়ার আত্মসাতের অন্যতম কারিগর। তাকে গ্রেফতার করে দ্রুত টাকা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা চাই। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের কার্যকরী কোন উদ্যোগ এখনও নেয়া হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীরা আত্মসাতকৃত শেয়ার ও অর্থ ফেরত না পাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কোন উপায় নেই। জানা গেছে, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের শেয়ার ও টাকা আত্মসাত ছাড়াও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনিয়োগকারীদের কাছে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন। এই টাকা আত্মসাতের কারণে পল্টন থানায় পৃথক ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা এবং ডিএসই কর্তৃপক্ষ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের কার্যালয় খুলে সার্ভার জব্দ করেছে।
×