ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গালওয়ানে পিচের রাস্তা ও ১৯ শিবির বানাচ্ছে চীনারা

প্রকাশিত: ১৩:২২, ৬ জুলাই ২০২০

গালওয়ানে পিচের রাস্তা ও ১৯ শিবির বানাচ্ছে চীনারা

অনলাইন ডেস্ক ॥ক্রমেই জটিল হচ্ছে ভারত চীনের গালওয়ান উপত্যকা নিয়ে সৃষ্ট সংকট। গালওয়ান নদীর তীরে এবার প্রায় ১৯টি শিবির তৈরি করেছে চীনা সেনারা। শুধু তাই নয়, পাহাড় কেটে পিচের রাস্তাও তৈরি করেছে তারা। নদীর ওপরে কালভার্ট ও অন্তত ১৬টি ছাউনির ছবি আগেই ধরা পড়েছিল উপগ্রহ চিত্রে। ভারত-চীন সেনা কমান্ডার পর্যায়ে তৃতীয় বৈঠকের পরেও গালওয়ান উপত্যকা থেকে তাদের পরিকাঠামো সরিয়ে নেওয়ার কোনও লক্ষণই দেখাচ্ছে না চীন। গালওয়ান নদীর বাঁকে যে এলাকায় চীনা শিবিরগুলো তৈরি হয়েছে, তার কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-এর কাছে চীনা সেনাদের তাঁবু তৈরি নিয়েই সংঘর্ষ হয়েছিল দু’দেশের। তার পরেও ওই এলাকা-সহ গালওয়ানে তাঁবু, রাস্তা তৈরির কাজ থামায়নি চীনা সেনারা। ভারতীয় সেনা সূত্রের দাবি, ওই এলাকায় বরাবরই টহল দিত তারা। কিন্তু চীনা শিবিরের জন্য আর সেটা সম্ভব নয়। ভারতীয় এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘চীনা সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে ১৪৯ মিটার ঢুকে এসেছে।’ ওই এলাকা থেকে গালওয়ান নদীর তীরে ভারতীয় সেনা শিবিরের ওপরে সরাসরি নজর রাখা যায়। বস্তুত পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-এর কাছেই গালওয়ান নদী শাইয়োক নদীতে মিশেছে। ভারতীয় এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘চীনারা ওই এলাকায় স্থায়ী ভাবে থাকার প্রস্তুতি চালাচ্ছে, সন্দেহ নেই। পিছু হটার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।’ এদিকে চীনা সেনাদের ঠেকাতে ভারতের শ্রীনগর, জম্মুর সুঞ্জওয়ান ও দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে ক্রমাগত সেনাসদস্য ও রসদ লাদাখে নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানগুলো। মোদী সরকারও সীমান্তে অবকাঠামো তৈরি থেকে পিছু হটবে না বলে ফের ইঙ্গিত দিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান ও হিমাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় একাধিক সড়ক তৈরির কাজ চলছে। প্রয়োজনে রানওয়ের কাজও করতে পারে এমন ১৭টি সড়ক তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে তিনটি শেষ হয়েছে।’
×