ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাইরে মাস্ক পরার পরামর্শ ডব্লিউএইচও’র

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৭ জুন ২০২০

বাইরে মাস্ক পরার পরামর্শ ডব্লিউএইচও’র

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাস্ক পরা নিয়ে নতুন পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, যেখানে ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে এবং সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না সেখানে মাস্ক পরা উচিত। গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে মাস্ক পরার বিষয়টি বিশ্বজুড়েই ব্যাপক আলোচিত হয়ে আসছে। খবর এপির। ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস শুক্রবার নতুন গবেষণার আলোকে বলেছেন, বিশ্বে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর উচিত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এলাকায় এবং যেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না সেসব জায়গায় জনগণকে মাস্ক পরায় উৎসাহিত করা। তবে সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, কোভিড-১৯ থেকে রক্ষায় কেবলমাত্র মাস্কই যথেষ্ট নয়, সম্ভব হলে বাইরে বের হওয়া বন্ধ করতে হবে। ডব্লিউএইচও কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকা রোগীকে বাড়িতেই অবস্থান করার পরামর্শ বহাল রেখে বলেছে, ভীষণ জরুরী কোন প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে তাদেরকে অবশ্যই মেডিক্যাল মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া বাড়িতে আক্রান্ত ব্যক্তির দেখভাল যিনি করবেন তাকেও মেডিক্যাল মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মেডিক্যাল মাস্ক পরার পাশাপাশি সুরক্ষা সরঞ্জামও গ্রহণ করতে হবে। এদিকে ডব্লিউএইচও তার নতুন পরামর্শে আরও বলেছে, ব্যাপকভাবে সংক্রমিত এলাকা এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করছে কিন্তু কোভিড-১৯ রোগীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন সকলকেও মেডিক্যাল মাস্ক পরতে হবে। সংস্থাটি সাধারণ জনগণের জন্যে কাপড়ের তৈরি তিনি স্তরবিশিষ্ট নন-মেডিক্যাল মাস্ক সুপারিশ করছে। এর প্রথম স্তরে সুতি কাপড়, দ্বিতীয় স্তরে ফিল্টারের কাজ করবে এমন নন-ওভেন পলিপ্রোপিলেন এবং সবশেষে বাইরের দিকে পানিরোধী পলিয়েস্টার জাতীয় কাপড় থাকবে। তবে মাস্ক ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার কেবলমাত্র একটি উপায় উল্লেখ করে টেডরস বলেন, এটি শারীরিক দূরত্ব কিংবা হাত পরিষ্কারের পরিপূরক নয়। তিনি বলেন, খুঁজে বের করা, বিচ্ছিন্ন করা, পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা প্রতিটি ক্ষেত্রে জরুরী। আমরা জানি এটিই কাজ করে। আর প্রত্যেকটি দেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এটিই সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা।
×