ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত এ্যান্ডারসন

প্রকাশিত: ১২:২২, ২০ মার্চ ২০২০

করোনার প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত এ্যান্ডারসন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্বেই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)। এর প্রভাবটা পড়েছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও। আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রীড়া ইভেন্টগুলো স্থগিত করা হয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে। তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বও আক্রান্ত হয়েছেন এই ভয়াল করোনাভাইরাসে। বাদ পড়েননি ক্রিকেটাররাও। এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপীই সবধরণের ক্রিকেট বন্ধ হয়ে আছে। ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার জেমস এ্যান্ডারসন তাই শঙ্কিত বোধ করছেন ব্যক্তিগত জীবন ও তার ক্রিকেট পেশাদারিত্ব নিয়ে। জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেট ক্লাবগুলো এখন সবধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকা- বন্ধ রেখেছে। ক্রিকেটাররা তাই অলস সময় কাটাচ্ছেন। এবার ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়া নিয়েও আছে শঙ্কা। ১২ এপ্রিল এবারের এই আসরটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার ভবিষ্যত অনিশ্চিত বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ইংল্যান্ডেও ব্যাপক হারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। আবার ঘরের মাটিতে ৪ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের খেলার কথা ৪ টেস্টের সিরিজ। সেটিও করোনার প্রভাবে স্থগিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী এ্যান্ডারসন তাই এখন তার পেশাদার ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনধারণ নিয়েই আছেন শঙ্কার মধ্যে। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট এবং ক্রীড়াই সবকিছু নয় এবং সবকিছুকে শেষ করে দেবে না। কিন্তু এটাই আমার জীবন ধারণের উপায়। এখন পর্যন্ত সেটাই আমি বুঝতে পারছি। খুবই সম্ভাবনা আছে এই গ্রীষ্মে হয়তো একটিও বল ছুঁড়তে পারব না।’ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এই মুহূর্তে সার্বিক বিষয়াদি চিন্তা-ভাবনা করে ভাবছে দর্শকশূন্য মাঠে, পুরোপুরি অবরুদ্ধ স্টেডিয়ামে খেলার সম্ভব সব বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে। এর মধ্যে স্থগিত হয়ে যাওয়া আসরগুলোও ভাবনায় রেখেছে ইসিবি। গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা সফররত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে এসেছে। সিরিজ স্থগিত করা হয়েছে। ইংল্যান্ড ও নটিংহ্যামশায়ারের ব্যাটসম্যান এ্যালেক্স হেলস নিজ থেকেই চলে গেছেন আইসোলেশনে। আরও ৬ জন সারে কাউন্টি ক্লাবের খেলোয়াড়ও অনুসরণ করেছেন হেলসের পথ। হ্যাম্পশায়ার চেয়ারম্যান রড ব্র্যান্সগ্রোভ বলছেন এই মৌসুমে কোন ধরনের ক্রিকেট না খেলাই উচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে এখন ফেরার অপেক্ষায় আছেন এ্যান্ডারসন। গত জানুয়ারিতে সর্বশেষ তাকে বল হাতে দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে। পাঁজরের ইনজুরিতে তিনি ছিটকে যান। আর সম্প্রতিই শ্রীলঙ্কা সফরে দুই টেস্টের যে সিরিজ স্থগিত করে ফিরে এসেছে ইংল্যান্ড সেই দলেও ছিলেন না তিনি। কিন্তু এই গ্রীষ্মে কাউন্টি ক্রিকেট দিয়েই আবার ফিরতে চাইছিলেন তিনি ক্রিকেটে। প্রায় ফিটও হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু এখন সার্বিক পরিস্থিতি দেখে তিনি হতাশায় বললেন, ‘মনে হয় না এই মৌসুমটা শুরু হবে। আমি কিছুটা দুশ্চিন্তাবোধ করছি। কি ঘটতে চলেছে এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। কিছুই বুঝতে না পারাটাই আমাকে কিছুটা শঙ্কিত করে তুলেছে। তাছাড়া একেবারেই তরুণ একটি পরিবারকে সুস্থ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। শান্ত থাকার চেষ্টা করছি, নির্দেশনাগুলো মেনে যাচ্ছি। আমার স্ত্রীর মা-বাবা স্পেনে লকডাউন হয়ে আছে। তারা এমন এক বয়সে আছেন যাদের নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা আছে। আমার ঘরে দুশ্চিন্তা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে, কারণ কেউ জানি না আগামী কয়েক মাসে কি ঘটতে যাচ্ছে।’
×