ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কাজী আরেফ হত্যার ২১তম বার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ১০:১০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 কাজী আরেফ হত্যার  ২১তম বার্ষিকী  আজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ১৫ ফেব্রুয়ারি ॥ বেদনা বিধুর ১৬ ফেরুয়ারি। এদেশের ইতিহাসের একটি কালো দিন। আজকের এই দিনে জাতীয় পতাকার রূপকার ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এদিন তার ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। হত্যাকা-ে ১৬ বছর পর ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ৩ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করলেও তাদের দাবি এ হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারীরা আজও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। একই সঙ্গে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ফাঁসির আরও ৫ আসামি এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা দানা বেঁধেছে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মাঝে। সেই সঙ্গে তারা শঙ্কাও প্রকাশ করেছে। হত্যাকা-ের নির্মম শিকার এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলীর বড় ছেলে ইউসুফ আলী রুশো জানান, ৩ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় আমাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও এ হত্যাকা-ের নেপথ্য মূল পরিকল্পনাকারীরা আজও রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এখনও গ্রেফতার হয়নি হত্যাকা-ে সঙ্গে জড়িত ঘাতকদের অনেকেই। তাই এখনও উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা পিছু তাড়া করে, সেই সঙ্গে মনের মাঝে সর্বদা বিরাজ করে শঙ্কাও। ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িত যারা এখনও গ্রেফতার হয়নি তাদের গ্রেফতার এবং এর পেছনের পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকাররে কাছে দাবি জানান তিনি। একই দাবি জানিয়েছেন সেদিনের ওই জনসভার পরিচালনাকারী ও মামলার সাক্ষী কারশেদ আলম। তিনিও হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের জনসম্মুখে এনে বিচার করার দাবি জানান। এদিকে নির্মম ও ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকা- সংঘটিত হওয়ার ২০ বছর পার হতে চললেও আজও কালিদাসপুর ট্রাজেটি স্থলে শহীদদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদ সভপাতি কাজী আরেফ আহমেদ, জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও সমসের ম-ল সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
×