ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

তবু হাল ছাড়ছেন না এ্যালিসা!

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

তবু হাল ছাড়ছেন না এ্যালিসা!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্লেবয় পত্রিকার মডেলিং অফার ফিরিয়ে দিয়ে শুধু খেলাতেই মন দিতে চান বিশ্বের ‘সেক্সিয়েস্ট এ্যাথলেট এ্যালিসিয়া স্মিথ। গতির পাশাপাশি ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডে রূপের আগুন ছড়ানো এ্যালিসাই হচ্ছেন সম্ভবত আসন্ন টোকিও অলিম্পিকের সবচেয়ে আলোচিত নারী ক্রীড়াবিদ। কারণ একটাই, তার সৌন্দর্য, এ রকম অপরূপা এ্যাথলেট আর কাউকে দেখা যাবে না গেমসের এবারের আসরে। এই জার্মান তরুণীকে বলা হচ্ছে সাম্প্রতিককালের বিশ্বের ‘সেক্সিয়েস্ট এ্যাথলেট’। জার্মানির ওয়র্ম শহরে এ্যালিসার জন্ম ১৯৯৮ সালে। ময়দানের বাইরেও ২১ বছর বয়সী এই সুন্দরীর অনুরাগীর সংখ্যা আকাশছোঁয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের ছবি দেন এ্যালিসা। ইনস্টাগ্রামে তার ভক্তসংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। ২০১৭ সালে বার্লিনে অনুর্ধ-২০ ইউরোপিয়ান এ্যাথলেটিক্সে দেশকে ৪ী৪০০ মিটার রিলে রেসে রৌপ্য এনে দিয়েছিলেন তিনি। সাফল্য আর রূপের রানী হিসেবে সে সময় থেকেই তাকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যতটা না খেলার জন্য, তার থেকেও বেশি আলোচনা হয় তার রূপের জন্য। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চিত হলেও মডেলিং করার কথা ভাবেননি এ্যালিসা। ফিরিয়ে দিয়েছেন ‘প্লেবয়’ ম্যাগাজিনসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের মডেল হওয়ার অফার। এ বিষয়ে এ্যালিসা বলেন, আমি খেলাধুলা করতে চাই। শোবিজ-ফ্যাশন জগৎ নিয়ে আমার মোটেও আগ্রহ নেই। আমি দৌড়াতে পছন্দ করি। এগিয়ে যেতে চাই ক্রীড়াঙ্গনের সান্নিধ্যে থেকে। উল্লেখ্য, গত বছর সুইডেনে অনুর্ধ-২৩ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ী৪০০ মিটার রিলে রেসে জার্মানিকে ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছিলেন এ্যালিসা। ইতিমধ্যেই তিনি একটি নামী ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থার স্পন্সর পেয়ে খেলার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাকে নিয়ে ভক্তদের মাতামাতি করার কারণে এ্যালিসা বিস্মিত। কেন তাকে বিশ্বের সেক্সিয়েস্ট এ্যাথলিট বলা হয়, তারও কোন ব্যাখ্যা তিনি খুঁজে পাননি বলে একাধিকবার দাবি করেছেন। এ্যালিসা জানিয়েছেন, এই প্রজন্মের আর পাচটা সাধারণ তরুণীর মতো তারও নিজের ছবি শেয়ার করতে ভাল লাগে। কেবল ভাল লাগার কারণেই ছবি শেয়ার করছেন। তিনি বলেন, আমি ‘সেক্সিয়েস্ট’ এ্যাথেলিট নই। নিজেকে কখনই অনিন্দ্য সুন্দরী মনে করি না। আর দশটা নারীর মতোই আমিও একজন সাদাসিধা মানুষ। তবে তার অনুরাগীদের সম্ভবত হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে টোকিও অলিম্পিকে। ভাবা হয়েছিল, এ্যালিসাই হয়ে উঠবেন অলিম্পিকের অন্যতম আকর্ষণ। অন্তত রূপের আগুন ছড়িয়ে। কিন্তু কঠোর অনুশীলন, প্রস্তুতি সত্ত্বেও তিনি এখনও পর্যন্ত অলিম্পকের জন্য জার্মানি দলে নির্বাচিত হতে পারেননি। তবে হালও ছাড়ছেন না। এ্যালিসার কথায়, অলিম্পিকের জন্য ক্রীড়াদলের তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কাজেই আমি যে থাকছি না সেটা কেউ বলতে পারবে না। প্রস্তুতিতে আরও মনোনিবেশ করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাকিটা ভাগ্য।
×