ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবারের ৪ সদস্যের পাঁচজনই প্রতিবন্ধী

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পরিবারের ৪ সদস্যের পাঁচজনই  প্রতিবন্ধী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রতেœশ্বরপুর গ্রামের একই পরিবারের ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জনই প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে দুই প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও বাকি দুজন পাচ্ছে না অভিযোগ করা হয়েছে। জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রত্নেশ্বরপুর গ্রামের মৃত আমির উল্লার ঘরে ১৯৫৭ সালে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছেলে দেলোয়ার হোসেনের জন্ম হয়। দেলোয়ার আশির দশকের দিকে সুস্থ মস্তিষ্কের মেয়ে জোহরা খাতুনকে বিয়ে করে। ১৯৯৪ সালে তাদের প্রথম কন্যা সন্তান আছমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অবস্থায় জন্ম হয়। ১৯৯৭ সালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অবস্থায় সবুজের জন্ম হয়। ২০০১ সালে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অবস্থায় কন্যা নাছিমার জন্ম হয়। দেলোয়ার হোসেন প্রথম থেকে পায়ে ভ্যান চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই সমাজসেবা অধিদফতরের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্মার্টকার্ড পায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী দেলোয়ার। কিন্তু অদ্যাবধি সে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়নি। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলে সবুজ ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই স্মার্টকার্ড পায়। সেও কোন ভাতা পায়নি। এদিকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ২ কন্যা আছমা ও নাসিমা ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি স্মার্টকার্ড পেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে আসছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার মাঠে কোনো জমি নেই। ভিটা বাড়িতে ৩/৪ শতক জমি আছে। আছে একটা কুড়ে ঘর। আমার বুদ্ধি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমি ভ্যান গাড়ি চালিয়ে আসছি। ইতোপূর্বে পায়ে ভ্যান গাড়ি চালিয়ে অতি কষ্টে সংসার চালিয়েছি। এখন দুই মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পায়, আমি ব্যাটারিচালিত ভ্যান গাড়ি চালিয়ে অতি কষ্টে আয় রোজগার করেও মোটামুটি সুখে শান্তিতে আছি। তবে আমি এবং আমার ছেলে যদি প্রতিবন্ধী ভাতা পাই তাহলে আমাদের সংসারে আর কোন দুঃখ কষ্ট থাকবে না’। ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান জানান, পরিবারের ৫ সদস্যের মধ্যে ৪ জন প্রতিবন্ধী। ২ জন প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। বাকি ২ জন অতি তাড়াতাড়ি ভাতা পেয়ে যাবে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের বলেন, ইউনিয়নের সকল প্রতিবন্ধীর পর্যায়ক্রমে ভাতা আওতায় আনা হচ্ছে। কেউ ভাতা থেকে বাদ পড়বে না।
×