ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ রোগ সংক্রমণ থেকে সতর্কতা

প্রকাশিত: ১০:২৭, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ রোগ সংক্রমণ থেকে সতর্কতা

ইবোলা, ডিজিজ এক্স, সার্স ও মার্স, জিকা, গুটি বসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গুর পর এসেছে করোনা ভাইরাস। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ঘিরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। করোনা ভাইরাসের থাবায় ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে চীনে। ইতোমধ্যেই এই ভাইরাস থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স এবং আমেরিকায় পাওয়া গেছে। যে গতিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে চীনে, তা সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে চীনা সরকার। পরীক্ষা করে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের উৎস হতে পারে বাদুড় ও সাপ। বেজিংয়ের চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স এমনই মনে করছে। আক্রান্তদের জ্বর, কাশি, শাসকষ্ট, গলা ফুলে যাওয়া কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস দ্রুততম সময়ে সতর্কতার সাঙ্গে মোকাবেলা না করা গেলে তা বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। ভাইরাসটি সংক্রমিত হওয়ায় ঝুঁকিতে বাংলাদেশও রয়েছে। কারণ, চীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী তো আছেই, তদুপরি বাণিজ্যিক ও ভ্রমণ সংক্রান্ত কারণে দেশটিতে এখন প্রচুর বাংলাদেশীর যাতায়াত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশে এখনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী শনাক্ত না হলেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। সরকার ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মহাখালী সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডাক্তারদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। দেশের বিমানবন্দরে বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়েছে। যারা দেশে প্রবেশ করছে, তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস আছে কি না, সেটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নৌ ও স্থল বন্দরগুলোয়ও সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চীন হতে আসা সরাসরি ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সর্বোপরি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আগাম সতর্কতার বিকল্প নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×