ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১০ হাজার কোটি টাকার ঋণের প্রস্তাবে ইতিবাচক বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ২০ জানুয়ারি ২০২০

 ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণের প্রস্তাবে ইতিবাচক বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারের মধ্যস্থতাকারীদের দেয়া ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণের প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া এই বিষয়ে দ্রুত অর্থমন্ত্রণালয়কে মতামত পাঠানো হবে। অর্থমন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রবিবার বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. ফজলে কবির। বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিএমবিএর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সভায় পুঁজিবাজারের বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি বিএমবিএর প্রস্তাবিত বিশেষ তহবিল নিয়ে আলোচনা হয়। গবর্নর তাদের আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং পুঁজিবাজারের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর শীঘ্রই বিস্তারিত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় তারল্য সঙ্কট নিরসন ও প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। যা নির্দেশনা আকারে জারি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যাতে করে পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতায় কাজ করে। বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজারের সার্বিকদিক নিয়ে রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্বনরসহ অন্যান্যদের সঙ্গে বিএমবিএ’র নেতৃবৃন্দের দীর্ঘ আলাপ হয়। তারা শেয়ারবাজারের উন্নয়নে আন্তরিক। প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবকৃত ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশী ব্যাংক ইতিবাচক বলে গবর্নর আমাদের জানিয়েছেন। এছাড়া ঋণের বিষয়ে দ্রুত সময়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির, বিএমবিএ’র সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে শেয়ারবাজারের সহযোগিতায় ১০ হাজার কোটি টাকা দেয়ার জন্য লিখিত প্রস্তাব দেয়। সেখানে ৬ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। যা শেয়ারবাজারের সকল মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এই টাকার বিপরীতে ২য় বছর থেকে ৩ শতাংশ হারে সুদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর চতুর্থ বছর থেকে আসলসহ সুদ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম বছর সুদ চার্জ না করার আহ্বান করা হয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকা শুধুমাত্র শেয়ারবাজারের জন্যই ব্যবহার করা হবে বলেও লিখিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। যা একটি বিশেষ এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। একইসঙ্গে ওই টাকার ব্যবহার নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানানো হয়। এই প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় মতামত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে গত মাসে চিঠি দেয়।
×