ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম কিস্তির ২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে রবি

প্রকাশিত: ১১:২৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

প্রথম কিস্তির ২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে রবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিরীক্ষা আপত্তির ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা রাজস্ব বকেয়ার মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সরকারকে প্রথম কিস্তিতে ২৭ কোটি ৬০ লাখ দিয়েছে বেসরকারী মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। অপারেটরটি মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই টাকা পরিশোধ করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান। বিটিআরসির বকেয়া পাওনা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারি ৮৬৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৩৮ কোটি টাকা পাঁচ মাসের সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে রবি’কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান জানান, পাঁচ কিস্তির মধ্যে রবি প্রথম কিস্তির ২৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা মঙ্গলবার বিটিআরসিতে জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে অপারেটর রবির তাৎক্ষণিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আদেশের পর বিটিআরসির আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ এর আগে গ্রামীণফোনের ১২ হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা দাবির মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা অবিলম্বে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আনুপাতিক হিসাব করে রবিকে ১৩৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। গত বছরের ৩১ জুলাই গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে চিঠি দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিস পাঠানো হয় দুই অপারেটরকে। কিন্তু বিটিআরসির দাবি করা টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে বরাবরই আপত্তি জানিয়েছে দুই অপারেটর। সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে বিটিআরসি রাজি না হওয়ায় দুই কোম্পানি আদালতের দ্বারস্থ হয়। বিটিআরসির দেয়া ওই নোটিস চ্যালেঞ্জ করে নি¤œœ আদালতে টাইটেল স্যুট (মামলা) করে রবি। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়। কিন্তু নি¤œ আদালত রবির অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দিলে হাইকোর্টে আপীল করে রবি। সেই আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট গত ২৫ নবেম্বর রুল জারি করে। রবির কাছ থেকে পাওনা আদায়ে বিটিআরসিকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই রুলের ওপর আদেশ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু তা পিছিয়ে আদালতে আসে ৫ জানুয়ারি। ওইদিন রুলের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে হাইকোর্ট গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে আপীল বিভাগের নির্দেশনার আদলে আদেশ দেয়। গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির নোটিসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাইকোর্ট। গত ২৪ নবেম্বর তা বহাল রেখেই আপীল বিভাগ অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এরপর রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিস পাঠায় গ্রামীণফোনের মালিক কোম্পানি টেলিনর।
×