ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে পাঁচ দেশ

প্রকাশিত: ০৯:১০, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে পাঁচ দেশ

এবার ইরানের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে বিশ্বের ৫টি দেশ। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এই দেশগুলোর নাগরিকরা বিমান মারা গেছেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দেশগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হবে। সেখানে ইরানের বিরুদ্ধে আইনগত কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। এদিকে ইরানের বিভিন্ন শহরে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগানে মুখরিত হয় বিক্ষোভ স্থল। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি ও প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির পদত্যাগের দাবি উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আমেরিকা নয়, দেশের ভেতরেই আমাদের শত্রু আছে। সিঙ্গাপুরে সফররত ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাদিম প্রিসতাইকো বলেন, ইরানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৫ দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক আগামী বৃহস্পতিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আইনগত পদক্ষেপসহ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রিসতাইকো। তবে কোন ৫টি দেশে তা জানা যায়নি। গত বুধবার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৬ আরোহীর মধ্যে ইরানের ৮২ জন, কানাডার ৫৭, ইউক্রেনের ১১, সুইডেনের ১০, আফগানিস্তানের চার এবং ব্রিটেন ও জার্মানির তিনজন করে নাগরিক মারা যান। ভুল করে বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় বলে ইরান স্বীকার করার পর দেশে বিক্ষোভসহ বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সরকার। তেহরানে বড় ধরনের বিক্ষোভ চলছে। সেখানে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পদত্যাগের দাবি উঠেছে। বিক্ষোভে সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও সরকার সেটি অস্বীকার করেছে। তেহরানের বাসিন্দারা বলেছেন, সব পুলিশকে রাস্তায় নামিয়ে আনা হয়েছে। খামেনিকে লক্ষ্য করে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগানও দিতে দেখা গেছে অনেককে। আধা-সরকারী বার্তা সংস্থা আইএলএনএ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ রাস্তায় নামে। বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করতে ও তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে। ইরান বিমানে হামলার তথ্য লুকানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটি বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটার বার্তার নিন্দা জানিয়েছে। আলজাজিরা ও রয়টার্স
×