ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যেখানে মেসিই প্রথম

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

যেখানে মেসিই প্রথম

চ্যাম্পিয়ন্স লীগে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা ১৫ মৌসুমে গোল করার রেকর্ড, তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে টুর্নামেন্টের ভিন্ন ভিন্ন ৩৩ ক্লাবের জালে বল জড়ানোর কীর্তিও এলএম টেনের স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রেকর্ড গড়াটাকে নিয়মিত রীতিতে পরিণত করে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। অসাধারণ সব পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে ইতোমধ্যেই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এলএম টেন বুধবার করলেন নতুন নজির। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা ১৫ মৌসুমে গোল করার অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়লেন বার্সিলোনার এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। লিওনেল মেসির রেকর্ডের দিনে জয়ের স্বাদ পেয়েছে বার্সিলোনাও। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে কাতালান ক্লাবটি এদিন ২-১ গোলে পরাজিত করেছে স্লাভিয়া প্রাগকে। গত সপ্তাহের এইবারের বিপক্ষে স্প্যানিশ লা লিগায় ৩-০ গোলের বড় জয় পায় বার্সিলোনা। সেই ম্যাচ থেকে বুধবার মাত্র দুটি পরিবর্তন করে দল সাজান কাতালানদের অভিজ্ঞ কোচ আর্নেস্তো ভালভার্ডে। হাঁটুর ইনজুরিতে ভোগা স্যামুয়েল উমতিতি ও সার্জি রবার্তোর বদলে দলে ডাকেন নেলসন সেমেদো আর জেরার্ড পিকেকে। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে সফরকারীরা। প্রাহার সিনোবো স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই প্রথম এগিয়ে যায় বার্সিলোনা। গোলরক্ষক ওনড্রে কোলারকে বাম পায়ের লো শটে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। ৩২ বছর বয়সী বার্সিলোনার প্রাণভোমরা মধ্যমাঠে পিটার সেভেচিককে বোকা বানিয়ে স্লাভিয়া বক্সের ভিতর ঢুকে আর্থারের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে ওনড্রেকে পরাস্ত করেন দারুণ কৌশলগত দক্ষতায়। আর এই গোলের সৌজন্যেই ইতিহাসে জায়গা করে নেন বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৫ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ মৌসুমে অন্তত একটি গোল করার রেকর্ড গড়েন এলএম টেন। শুধু তাই নয়, প্রাগের বিপক্ষে গোল করে আরও একটা রেকর্ডে ভাগ বসান মেসি। ইউরোপ সেরার এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ৩৩টি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল করার রেকর্ড গড়েন তিনি। তার আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন কিংবদন্তি রাউল গঞ্জালেজ এবং মেসিরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। মেসির গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া বার্সিলোনা অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফিরে। বিরতির পাঁচ মিনিট পর লেফটব্যাক ইয়ান বোরিলের গোলে ম্যাচে ফিরে স্লাভিয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্য প্রাগের। সমতায় থাকার আনন্দটা খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৫৭ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের পোস্টের কাছে থেকে জোরালো শট স্লাভিয়া উইঙ্গার পিটার ওলায়িঙ্কার পায়ে লেগে পরিণত হয় আত্মঘাতী গোলে। এর পরের সময়টাতে অবশ্য আর কোন গোলের দেখা পায়নি কেউ। যে কারণে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্নেস্তো ভালভার্ডের দল। এই নিয়ে সবধরনের প্রতিযোগিতায় বার্সিলোনার টানা ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। এই জয়ে তারা ইন্টার মিলানের থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। তবে এদিন জয়ে ফিরেছে ইন্টার মিলান। নিজেদের মাঠে ইতালিয়ান জায়ান্টরা এদিন ২-০ গোলে পরাজিত করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। হারলেও ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ইন্টার মিলানের সমান ৪। কিন্তু অবস্থান তিনে। ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের তলানিতে রয়েছে স্লাভিয়া প্রাগ।
×