ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শুদ্ধি অভিযানে অপরাধী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জাসদের

প্রকাশিত: ১১:২৩, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

শুদ্ধি অভিযানে অপরাধী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জাসদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতিবাজরা দলের কলঙ্ক। দুর্নীতিবাজদের গায়ে যে জার্সিই থাকুক না কেন তাদের কঠোরভাবে দমনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু)। ১৪ দলের অন্যতম শরিক দলটি বলছে, চিহ্নিত অপরাধী, অসৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, পুলিশ প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ত্রিমুখী শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। সুশাসনের জন্য আন্দোলন ও শুদ্ধি অভিযানের টার্গেটই হবে অপরাধী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া। দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের অবৈধভাবে অর্জিত সকল অর্থ-সম্পদ বাজেয়াফত করারও দাবি দলটির। শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ‘সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক চুক্তি’ বিষয়ে জাসদের প্রস্তাব ও দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযানের সমর্থনে এবং সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জাসদ। লিখিত বক্তব্যে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, আপনারা জানেন জনগণের সমর্থনে ও সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে দেশে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস-সহিংসতা-অন্তর্ঘাত-নাশকতা-আগুনসন্ত্রাস-অশান্তির রাজনীতি কোনঠাসা হয়েছে। দেশ শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়ন-উৎপাদনের পথে অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু দেশ ও জাতির অর্জিত এ অগ্রগতি-অগ্রযাত্রার সাফল্য ধ্বংস করতে উদ্যত দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-ক্ষমতার অপব্যবহারকারী গোষ্ঠী। দেশে দুর্নীতি-লুটপাট-দলবাজি-দখলবাজি-ক্ষমতার অপব্যবহার, গু-ামি, অত্যাচার, নির্যাতন, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণসহ সামাজিক অনাচার-অবিচার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে বহুক্ষেত্রেই এই চিহ্নিত অপরাধীদের সঙ্গে অসৎ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও পুলিশ প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তাদের অশুভ যোগসাজশে অপরাধী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ক্যাসিনো ঘটনার সূত্র ধরে অপরাধী সিন্ডিকেটের কাজকারবারের সামান্য কিছুটা জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়েছে। এই অপরাধী সিন্ডিকেট সরকারের গায়ে কালিমালিপ্ত করছে, সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছে। দেশের সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে সেবার পরিবর্তে হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে দাবি করে শিরীন আখতার বলেন, লুটপাট ও দুর্নীতির পাশাপাশি দেশের সাধারণ জনগণ সরকারী অফিস-আদালতে, হাসপাতালে তাদের স্বীকৃত নাগরিক অধিকার ও নাগরিক সেবা পাবার বদলে অপমান-অসম্মান-হয়রানির শিকার হচ্ছে। অপরাধের শিকার সাধারণ মানুষ পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও প্রতিকার পাবার পরিবর্তে অপমান, অসম্মান, হয়রানি, বৈষম্য, বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। সাধারণ মানুষ অসহায়-বিপন্ন বোধ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাঙ্গনগুলোতেও রাজনৈতিক মদদপুষ্ট হয়ে প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অত্যাচারী ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী গড়ে উঠেছে। এদের অত্যাচার-নির্যাতনে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের হল-হোস্টেলে ভীতি ও আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বুয়েটে পৈশাচিকভাবে আবরার হত্যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভীতি-আতঙ্কের করুণ পরিস্থিতি উন্মোচন করেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ প্রশাসন চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
×