ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রৌমারীতে চতলাকান্দা সেতু হুমকির মুখে

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ২ অক্টোবর ২০১৯

রৌমারীতে চতলাকান্দা সেতু হুমকির মুখে

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারীর চতলাকান্দায় জনস্বার্থে নির্মাণ করে দেয়া ডাচ-বাংলা সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। গেল বন্যায় পাহাড়ী ঢলের তীব্র স্রোতে সেতুর দু’পাশের অনেক অংশ ধসে যাওয়ার ফলে পুরো সেতুটি এখন হুমকির মধ্যে পড়েছে। স্থানীয়রা নিজস্ব টাকায় ধসে যাওয়া অংশে কাঠ-বাঁশ ব্যবহার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রেখেছে। তবে যে কোন মুহূর্তে পুরো সেতুটি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন। দেশ ও জনস্বার্থে বেসরকারী ডাচ-বাংলা ব্যাংক তাদের নিজস্ব অর্থায়নে দেড় কোটি টাকার ওপর খরচ করে চতলাকান্দায় সেতুটি নির্মাণ করে দেয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ গত ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেতুটি নির্মাণের ফলে বছরে ৯ মাস অবরূদ্ধ থাকা উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ৪০ গ্রামের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ মুক্ত হয় যাতায়াতের দুর্ভোগ থেকে। উপজেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় সীমান্ত ঘেঁষা ওসব গ্রামে লাগে পরিবর্তনের ছে৭ায়া। কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজেই হাটাবাজারে নিতে পারে এবং ন্যায্য দাম পায়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পায়। সরেজমিনে চতলাকান্দায় ডাচ-বাংলা সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বন্যায় সেতুর উভয়পাশের মাটি সরে গেছে। দক্ষিণ পাশের কিছু অংশ সেতু থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সেতুর সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হান্নান জানান, সেতুটি নির্মাণের ফলে বিশাল এই এলাকার মানুষের অনেক উপকার হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বন্যার পানির তীব্র ¯্রােতে সেতুর অবস্থা এখন ভাল নয়। সেতুটি বেসরকারী ব্যাংক নির্মাণ করে দিয়েছে-এ কারণে সরকারও সেতু মেরামতের জন্য কোন প্রকল্প দিচ্ছে না। বর্তমানে সেতুর দু’পাশের যে অবস্থা তা দ্রুত মেরামত করা না গেলে পুরো সেতুটি ধসে যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, বন্যায় সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। আমার এক মেম্বারকে দিয়ে সেতুর দু’পাশে কাজ করিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়েছে। তবে দ্রুত তা মেরামত করা না গেলে পুরো সেতুটিই ধসে যেতে পারে।
×