ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য লড়াই, ধীরে চলার নীতি বেজিংয়ের

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৮ আগস্ট ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য লড়াই, ধীরে চলার নীতি বেজিংয়ের

চীন-মার্কিন বাণিজ্য লড়াই অবসানে ‘ধীরস্থিরভাবে’ এগোতে চায় বেজিং। চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চীন-যুক্তরাষ্ট্র চলমান বাণিজ্য লড়াই অবসানের লক্ষ্যে গঠিত আলোচক দলের চীন অংশের প্রধান লিও হে সোমবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বেজিং ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোন দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনায় জড়াতে মোটেও রাজি নয়। খবর ইয়াহু নিউজ অনলাইনের। বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ৫৫০ বিলিয়ন চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর চীন যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ বিলিয়ন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের ঘোষণা দেয়। এরপর রবিবার ট্রাম্প চীনা কোম্পানির কাছে মার্কিন পণ্যের অর্ডার প্রত্যাহার করে নেয়ার হুমকি দেন। লিও হে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা কংজিংয়ে আয়োজিত প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার এই বাণিজ্য যুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে কোন পক্ষই লাভবান হবে না। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে চাই। আমরা এই বাণিজ্য লড়াই অবসানের জন্য আলোচনায় আমরা শান্ত মনোভাব দেখাতে আগ্রহী। লিও হে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার লিও হে বলেন, ‘আমি মনে করি এই বাণিজ্য যুদ্ধ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না। আর চীনের জনগণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোন ধরনের দ্বন্দ্বের বিপক্ষে।’ তিনি বলেন, আমরা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে আন্তরিকতা নিয়ে চীনের মাটিতে স্বাগত জানাতে চাই। কেননা মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতি আমাদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রমহ সমগ্র বিশ্বের জন্য চীনের মাটিতে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছি। মেধাস্বত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নত গোয়েন্দা সরঞ্জাম তৈরির জন্য আমরা চীনের বাজারকে উন্মুক্ত করেছি। আমরা সকল প্রকার প্রযুক্তি পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী। পাশাপাশি আমরা সরবরাহ অব্যাহত রাখতে চাই। তবে ট্রাম্প ঠিক কিভাবে তার দেশের কোম্পানিগুলোকে চীন থেকে সরিয়ে নিতে চান তা স্পষ্ট নয়। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ইমারজেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার এ্যাক্টের আওতায় ট্রাম্প চীনে অবস্থিত মার্কিন কোম্পোনিগুলোকে প্রত্যাহারের আদেশ দিতে পারেন। দু’দেশের বাণিজ্যে যুদ্ধে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে, মিত্রদেশগুলোর মধ্যে হতাশা বাড়তে পারে এবং এক পর্যায়ে বৈশ্বিক মন্দার সূচনা হতে পারে। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরপরই বিশ্ব পুঁজিবাজারে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ১১ বছরের মধ্যে চীনা মুদ্রার দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়।
×