ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ১৬ আগস্ট ২০১৯

উবাচ

ঘুমের ওষুধ স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় জীবনে এখন সবার আলোচনার মূল বিষয়বস্তু মশা। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এখন মশক রাজনীতি করছে। সরকার মশা মারতে কামান দাগলো কিনা সারাদিন আছে সেই আলোচনা নিয়ে। যদিও এখনও বলেনি কারাগারে হাসপাতালে এডিস মশা ওখানে আমাদের নেত্রী থাকতে পারবেন না। তবে মশা নিয়ে নানাভাবে সরকারকে কুপোকাত করার চেষ্টা করছে। তবে সরকারও মনে করছে হাতি-ঘোড়া এমনকি বিএনপি গেল তল, মশা বলে কত জল! সুতরাং মশার কাঁধে পা দিয়ে বিএনপি আর কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। তাও সেই মশা নিয়েই আছে বিএনপি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন ‘মশার ঘুমের ওষুধ’ এনেছে। মশা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকবে শান্তির মধ্যে সেই ওষুধ। আকাশে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সবাই মিলে ব্যর্থ হওয়ার নামই এবারের ঈদযাত্রা। রাজধানী ঢাকা থেকে যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ করতে গেছেন কেবল তারাই বলতে পারবেন কতটা ভোগান্তি ছিল পথে পথে। রাত সাড়ে ১১টায় গাড়িতে চড়ে পাটুরিয়া ফেরি পার হতে হতে সকাল সাড়ে সাতটা। বড়জোর সাড়ে আড়াই ঘণ্টার রাস্তা অতিক্রম করতে আট ঘণ্টা সময় লেগেছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল যাত্রার কথা না হয় আর কেউ মুখেই না আনল। কিন্তু এরপরও দেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলছেন, এ সমস্যা সামান্যই। প্রতিমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের মানুষ। ছোট বেলায় তার জেলা থেকে কখনও কখনও ঢাকায় আসতে তিন দিন সময় প্রয়োজন হতো। সেই তুলনায় নিশ্চয়ই এই দুর্ভোগ সামান্যই বটে। তিনি বলছেন, নৌপথে ফেরিতে জট ছিল না। আদৌ কি তাই? ফেরিঘাটে শত শত গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল ঈদের দুদিন আগে থেকে। সংবাদ মাধ্যমগুলো ছবিসহ সেই খবর প্রকাশ করেছে। যারা ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ছিলেন কেবল তারাই জানেন এই যন্ত্রণা কেমন। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী জট না থাকার এই খবর পেলেন কোথায়? তিনি আরও বলছেন, কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় নৌপথে যাত্রী পারাপারে আমরা সন্তুষ্ট। যাদের জন্য এই ব্যবস্থা তারা সন্তুষ্ট কি না, সে খবর কি একবারও নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী? না কি কিছু না শুনেই এই প্রশান্তির ঢেঁকুর! তিনি আরও বলেছেন, রেল ও সড়ক পথে কিছুটা সমস্যা থাকলেও আকাশপথে কোন ফ্লাইট চলাচলে সমস্যা হয়নি। শাবাশ বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী তো কাজের কাজটিই তাহলে করেছেন। এখন কী সবার এক সঙ্গে আকাশেই ওড়া উচিত। কিন্তু সবার পকেটে এত টাকা কোথায়? উন্নত হচ্ছে বলেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ কেউ বলেন মহেশখালী হবে সিঙ্গাপুর আবার কেউ বলেন ভোলাও হবে সিঙ্গাপুর। একটি দেশের কোনায় কোনায় সিঙ্গাপুর হয়ে ওঠার হাতছানি। তাহলে তো দেশ উন্নত হচ্ছেই। আর সিঙ্গাপুর হলে তো ডেঙ্গু হবেই এই তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। দেশে প্রতিমন্ত্রী হওয়ার এই এক জ¦ালা একবার হয়ে গেলে আবেগে খুশিতে মাথাটা আর ঠিক থাকে না। স্বপন বলছেন, ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টি ‘এলিট শ্রেণির’ মশা এবং তা বাংলাদেশ ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ব্যাংককের মতো শহরে দেখা দিয়েছে। প্রাণঘাতী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে যখন হাজার হাজার মানুষ ধুঁকছে তখন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর এই তথ্যে সমালোচনার ঝড় উঠছে। এই প্রতিমন্ত্রীর কথা তো প্রমাণ করে মানুষকে মরেই প্রমাণ করতে হবে দেশকে সিঙ্গাপুরের মর্যাদা দিয়ে গেলাম। দেশ সিঙ্গাপুর দাবি করে মাথার এই অবস্থা ইউরোপ আমেরিকা দাবি করলে কি হতো। কি আর হতো পাগলা গারদে ভিআইপি সিট আছে নাকি না সেখানে সবাই সমান।
×