ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে শ্রমিকদের মারধর

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ২৮ জুলাই ২০১৯

 পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে  শ্রমিকদের  মারধর

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৭ জুলাই ॥ পটুয়াখালীতে লঞ্চ টার্মিনালের শ্রমিক ও হকারদের মারধর করেছে ঢাকা নৌবন্দর ইনচার্জ ও বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক মোঃ আরিফ উদ্দিন ও সাবেক ছাত্রদল নেতা বিপ্লব গাজী। এ সময় ওই কর্মকর্তা টার্মিনালের ভাসমান হকারদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে তাদের মালামাল নদীতে ফেলে দিয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় এক সংবাদকর্মী সেই চিত্র মোবাইলে ধারণ করলে নৌবন্দরের ওই কর্মকর্তা তার কাছ থেকে জোরপূর্বক মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র মুছে ফেলে। এতে আহত হয়েছেন ৫ জন। ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পটুয়াখালী নৌবন্দরের শ্রমিক মোঃ ইলিয়াস মোল্লা ও লাবলু বেপারী অভিযোগ করে বলেন, শনিবার দুপুরে দিকে ঢাকা নৌবন্দরের ৪ থেকে ৫ কর্মকর্তা পটুয়াখালীতে আসেন। এ সময় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান লঞ্চঘাটের ইজারাদার সবির গাজীর ছোট ভাই গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব ওই কর্মকর্তাদের নিয়ে পুরান বাজারের বোর্ড অফিসের খেয়াঘাটে পৌঁছায়। ঢাকা নৌ বন্দরের ইনচার্জ যুগ্ম পরিচালক পরিচয়ে আরিফ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আমাদের কাছে জানতে চায়, ওই ঘাটে মালামাল নামানো হচ্ছে কেন। এ সময় শ্রমিকরা পটুয়াখালী পৌর মেয়র ও ডিসির অনুমতি নিয়েছে বলে জানালে নৌ বন্দরের ওই কর্মকর্তা এবং ছাত্রদল নেতা পৌর মেয়র ও ডিসিকে অশ্লীল ভাষায় ইঙ্গিত করে গালমন্দ করে ইলিয়াস ও লাবলুকে ব্যাপক মারধর করে। ইলিয়াস ও লাবলু আপত্তি জানালে নৌবন্দরের ওই কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের জেলে ঢুকিয়ে দেয়া এবং কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ভয় দেখায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। পরে তাদের টেনে লঞ্চ টার্মিনালে নিয়ে আসেন। অভিযুক্ত কর্মকর্তা আরিফের সঙ্গে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি শ্রমিকদের মারধরের অযোগ অস্বীকার করেন।
×