ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শপিংমল থেকে ফুটপাথ জমজমাট বিক্রি

প্রকাশিত: ১০:১৩, ১ জুন ২০১৯

  শপিংমল থেকে ফুটপাথ জমজমাট বিক্রি

ওয়াজেদ হীরা ॥ ২৫ রমজান শেষ। ২৯ রমজান ধরলে আগামী বুধবার মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় বিপণি বিতান, শপিংমল থেকে ফুটপাথ পর্যন্ত সর্বত্র ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ইতোমধ্যেই অনেকেই ধরেছেন বাড়ির পথ। যারা এখনও ঢাকায় রয়েছেন শেষ মুহূর্তে প্রিয়জনদের জন্য ছুটছেন দোকানে দোকানে। সেরে নিচ্ছেন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। কেনাকাটার মাধ্যমে উৎসবের রং ছড়িয়েছে গোটা শহরেই। তীব্র গরম আর মার্কেটে মানুষের ভিড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা থাকলেও জমজমাট বিকিকিনিতে খুশি বিক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন শেষ শুক্রবার হিসেবে ভিড় থাকলেও আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল। ইতোমধ্যেই ছুটির কারণে অনেকেই বাড়ি চলে যাওয়াতে মানুষ কমে আসছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। ২৫ রমজান ছিল এবারের রমজানের শেষ শুক্রবার। স্বাভাবিকভাবেই ছুটির দিন অন্যান্য দিনের চেয়ে ভিড়ও ছিল বেশি। তবে গত কয়েক দিনের কেনাকাটা যারা করেছেন তারা এখন ছুটছেন বাড়ির পথে। ইতোমধ্যেই অনেকে বাড়ি চলেও গেছে। যারা এখনও ঢাকায় রয়ে গেছে তারাই ছুটির দিনকে কেনাকাটার জন্য বেছে নেন। সব বয়সী মানুষের সমাগম হয় মার্কেটমুখী। সকাল ১০টায় এলিফ্যান্ট রোডে দেখা যায় জুতার দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। জানতে চাইলে ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমার এখনও ছুটি শুরু হয়নি। ছুটির দিন হিসেবে কেনাকাটা করে রাখছি। রাজধানীর ঈদের কেনাকাটা দেখতে সরেজমিনে নগরীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, রাপাপ্লাজা মল, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চক, ধানমন্ডি হকার্স, মৌচাক মার্কেট, বেইলি রোড, এলিফ্যান্ট রোডের বিপণি-বিতানগুলোতে দেখা যায় বেশ জমজমাট কেনাকাটার দৃশ্য। এছাড়াও রাজধানীর অলি গলির দোকান শোরুমেও চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকানা। ঈদকে সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে নতুন শাড়ি, ড্রেস, শার্ট, প্যান্ট, জুতার যেন বিকল্প নেই। তাই ক্রেতারাও এ সময় পোশাক কেনাকাটায়ও খোঁজেন একটু ভিন্নতা। নিজেকে কিছুটা হলেও আলাদাভাবে সাজানোর প্রবণতা থাকে সবার মাঝেই। ঈদের সময় শপিংমলের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লার দোকানেও থাকে আপডেটেড কাপড়ের নানা কালেকশন। নতুন পোশাক কিনতে এসব দোকানে ভিড় করছেন স্থানীয় ক্রেতারা। এদিকে, অন্যান্য উৎসবের তুলনায় ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে পোশাক বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। অবশ্য নতুন পোশাক বিক্রির ধুম পড়ে যাওয়া রোজার মাস ধরে কতো টাকার পোশাক বিক্রি হয় তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো অনুমান নির্ভর একটি ধারণা দিয়ে থাকেন। রোজার মাসব্যাপী পোশাক বিক্রি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা আশা করছি এবার ঈদকেন্দ্রিক পোশাক বিক্রি হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই ব্যবসায়ী নেতার মতে, এবার ঈদকেন্দ্রিক কী পরিমাণ বিক্রি হয়েছে, তার সঠিক তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে গত বছর ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো বিক্রি হয়েছিল। এবার এখন পর্যন্ত বিক্রি পরিস্থিতি বেশ ভাল। বাকিটা আমরা ধারণা করছি মাত্র। খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে এসব হাজার হাজার কোটি টাকার হিসেব রাখার সময় নেই। তারা ব্যস্ত দোকানের ক্রেতা সামলাতে। রাজধানীর গাউসিয়া ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে শাড়ি বিক্রেতা সাজ্জাত হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিদিন রাত দুইটা তিনটা পর্যন্ত দোকান করতে হচ্ছে। আবার সকালে ৯টায় খুলতে হচ্ছে। বছরে এই একটা সময়ইতো ব্যবসাটা ভাল হয়। তবে শুক্রবার হিসেবে আজ মানুষ যা আসছে তা গত শুক্রবারের চেয়ে কম মনে হয়েছে। একই ধরনের সুর মিলিয়ে চাঁদনি চকের প্যান্ট বিক্রেতা রইসআলম বলেন, আসলে গত কয়েকদিন ধরেই কিন্তু বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ঈদের আগে বড় ছুটি পড়ে যাওয়াতে সবাই আগেই বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করে কেনাকাটা সেরেছেন। আজও বিক্রি ভাল হচ্ছে। তবে যারা শেষ মুহূর্তে বাড়ি যাবেন তারাই এই কদিন কেনাকাটা করবেন। গত শুক্রবার থেকে কয়েকদিন সকালেই দেখা যেত অতিরিক্ত মানুষের সমাগমে রাস্তায়ও তীব্র জট তৈরি হতো। ঈদের আগ মূহূর্তে রাজধানী হয়ে যেত প্রায় অচল। এদিন সকালে মার্কেটকেন্দ্রিক ভিড়টা খুব একটা ছিল না। সকালে গুলশান, ফার্মগেট বসুন্ধরা সিটি নিউমার্কেট ঘুরে তেমন একটা জ্যাম দেখা যায়নি। এলিফ্যান্ড রোডে দায়িত্বরত সার্জেন্ট বলেন, মানুষ শহর ছাড়তে শুরু করেছে। এজন্য নগরে চাপ কমছে, অনেকে বাড়ি না গেলেও কেনাকাটা শেষ করেছে তারা আর মার্কেটে এসে কি করবে। তাই স্বাভাবিকভাবে মানুষের চাপ কমছে। তবে বিকেলের দিকে অনেক এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। এই যানজট পুরোটাই ছিল মার্কেটকেন্দ্রিক। বিশেষ করে গুলশানের পুলিশ প্লাজা, আড়ং, বসুন্ধরা সিটির সামনে যানজট সৃষ্টি হয় মূলত অতিরিক্ত ক্রেতা আগমনের কারণেই। মগবাজার এলাকায় স্থানীয় দোকানে কেনাকাটা করেন স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর। তিনি বলেন, বাচ্চাদের কাপড় কিনে দিতে মৌচাকে যে ভিড় দেখেছিলাম আর যাওয়ার সাহস করিনি। আর এখানে পাঞ্জাবির কালেকশন ভাল ছিল তাই কিনে নিলাম। মগবাজারের মতো রাজধানীর অলি গলিতে এখন জমজমাট। স্থানীয়রা অনেকেই বড় বড় শপিংমলের ধাক্কাধাক্কির ভিড় এড়িয়ে এসব দোকান বা শোরুমে খোঁজ রাখেন ভাল কিছু পাওয়ার আশায়। এদিকে শাড়ি চুড়ি, জামা-জুতা, প্যান্ট-পাঞ্জাবির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভাল। অনেকেই বাড়ির জন্য টিভি, ফ্রিজ কিনছেন। কেউ আবার গরম সহ্য করতে না পেরে ঈদের বাজেটে রেখেছেন এসি কেনার টাকা। এছাড়াও শখ করে অনেকেই মোবাইল ফোন কিনতেও দেখা গেছে। বসুন্ধরা সিটিতে মোবাইল ফোন কিনে নতুন ফোনে সেলফি তুলে সুমাইয়া। তিনি বলেন, ঈদের সময় বাজেট থাকে ভাল। তাই অন্যান্য কেনাকাটার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বা শখের পণ্যটি অনায়াসেই কেনা যায়। রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেটের একাধিক ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী জানান, এবারের ঈদে ইতোমধ্যেই অনেক পণ্যই তারা বিক্রি করেছেন। টিভি-ফ্রিজের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল ছোট এসি ও কুলার ফ্যানের। বিক্রেতারা বলেন, ঈদের খরচের সঙ্গে এসব হয়ে গেলে ঘরে একটা বাড়তি পণ্য চলে আসে। আর রোজায় তীব্র গরমের কারণে ফ্যান ও এসির চাহিদা ছিল প্রচুর। এছাড়াও শখের পণ্য হিসেবে ঈদের আগে অনেকেই কিনেছেন মোটরসাইকেল। রাজধানীর ইস্কাটনের একাধিক মোটরসাইকেল শোরুম থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে অধিকাংশ দোকানেই নির্ধারিত লক্ষ্যের কাছাকাকি কেউ বেশি বিক্রি করেছেন। জানা গেছে, রমজান মাসে ঈদকেন্দ্রিক নির্ধারিত বিক্রয় লক্ষ্য দেয়া হয় প্রতিষ্ঠান থেকে। নাহার এন্টারপ্রাইজের এক বিক্রয় কর্মী বলেন, অনেকেই ঈদের সময় মোটরবাইক কেনেন। কেউ আবার নতুন মডেলে আকৃষ্ট হয়। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে টাকা জমিয়ে রাখে ঈদের সময় পছন্দের পণ্যটি পাওয়ার আশায়। এদিকে, ঈদ বাজারের কেনাকাটার মধ্যে ক্রেতারা ঝুঁকেছেন সুতি বা লিলেন কাপড়ের পণ্যে। কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ঈদের সময় বৃষ্টি না হলে এমন গরমই থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় নরম কাপড়ের দিকে ঝোঁকেন সবাই। পীর ইয়ামেনি পাঞ্জাবির মার্কেটে দেখা যায় ক্রেতারা এসেই আগে কাপড়ে হাত বুলাচ্ছেন একটু শক্ত বা খসখসে হলেই আরো নরম কপড়ের আবদার করেন। বিক্রেতা রিপন বলেন, আসলে নরম কাপড়ের সবসময়। চাহিদা থাকে। এবার আরও বেশি। পাঞ্জাবির মতো শার্ট, গেঞ্জি কিংবা মেয়েদের জামাতেও সুতি কাপড় নরম কাপড়ের প্রাধান্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও যাদের কেনাকাটা হয়ে গেছে তারা ম্যাচিং করে জুতা বা অলঙ্কার কিনতে ছুটেছেন এসব দোকানে। শাড়ি কাপড়ের বিক্রেতারা জানান, জামদানির পাশাপাশি সিল্ক হাফ সিল্কের আধিক্য ছিল অনেক বেশি। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে জেন্টস ও লেডিস পার্লারগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কয়েকটি পার্লারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাদের অগ্রিম সিরিয়াল দিয়ে রাখতে হচ্ছে। গরমে ত্বকের পরিচর্যা হিসেবে ঈদের আগে পার্লারে ছুটছেন ত্বক সচেতনরা। রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউসিয়া, আজিজ, রাজধানী মার্কেট, মৌচাক মার্কেটে সব শ্রেণীর মধ্যেও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাই বেশি। মধ্যবিত্তদের কেনাকাটার মতোই জমজমাট রাজধানীর অভিজাত এলাকার মার্কেটগুলো। বিশেষ করে গুলশান। গুলশানের বিভিন্ন দোকানে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে অভিজাত এলাকার কেনাকাটার দৃশ্য বেশি। এখানকার কালেকশনে রয়েছে এক্সক্লুসিভ সব ধরনের টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, শাড়ি, লেহেঙ্গা, শার্ট, থ্রি পিস। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয় নানা ধরনের দামী পোশাক। উচ্চবিত্ত ছাড়া অন্যরা খুব একটা পা ফেলে না এসব মার্কেটে। গুলশানের পিংক সিটি, শপার্স ওয়ার্ল্ড, নাভানা টাওয়ার, মনিক্যাপিটাল সেন্টার ও পুলিশ প্লাজা সাজানো হয়েছে লাখ লাখ টাকা মূল্যের পোশাকে। শপার্স ওয়ার্ল্ডের এক বিক্রেতা বলেন, বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, মিডিয়ার তারকা, সরকারী-বেসরকারী উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিবার-পরিজন গাড়ি হাঁকিয়ে শপিং মলে আসছেন। কেনাকাটা করে আবার ফিরছেন। সরেজমিন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শাড়ি, পাঞ্জাবি, মেয়েদের পোশাকের দোকান এবং নতুন কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা, এক্সেসরিজ ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতেই তুলনামূলক ভিড় বেশি। অভিজাত পাড়ার উচ্চবিত্তের মতো সাধ্য না থাকলেও সাদ আছে নিম্ন বিত্তেরও। তাইতো জমজমাট বেচাকেনা এখন ফুটপাথেও। ঈদ কেনাকাটায় এগিয়ে আছে ফুটপাথের ব্যবসায়ীরাই। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও চলছে কেনাকাটার ধুম। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের প্রধান ভরসা হিসেবে দেখা দিয়েছে রাজধানীর ফুটপাথের বাজার। এছাড়াও মধ্যবিত্ত মানুষও উঁকি ঝুঁকি দেয় ফুটপাথের নানা পণ্যে। কেনাকাটাও করেন হরহামেশাই। ফলে অন্যান্য মার্কেটের চেয়ে ফুটপাথে বেশ জমজমাট। ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে বিক্রিও ততই বাড়ছে তাদের। রাজধানী জুড়ে প্রায় অর্ধশত রাস্তার ফুটপাথে চলছে ঈদের কেনাবেচা। দৈনিক বাংলা মোড়, মতিঝিল জনতা ব্যাংকের সামনে, মতিঝিল শাপলা চত্বরের চারদিকের ফুটপাথ, বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর-পশ্চিম গেটের সামনে, ফকিরাপুল এলাকা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স সমিতি মার্কেট, গুলিস্তান মোড়ের চারপাশের ফুটপাথ, নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়কের ফুটপাথ, গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাথ, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চকের ফুটপাথেও উঠেছে ঈদের বেচাকেনা। নিউমার্কেটের ফুটপাথের ব্যবসা করেছেন হেলালুদ্দিন। মেয়েদের ওয়ান পিস বিক্রি করেন তিনি। বলেন, আমাদের বিক্রি বেশি হয় শেষের দিকেই। অনেকেই এখনো টাকা হাতে পায়নি। শেষের দিকে টাকা দেয়। এছাড়াও অল্প আয়ের মানুষের জন্য এমন দামে এর চেয়ে ভাল পণ্য আর পাওয়া সম্ভব নয় বলেন তিনি। শুক্রবার সকালে ফার্মগেট ফুটপাথ থেকে জুতা কিনেন সামির আল ফাহাদ। তিনি একজন শিক্ষার্থী। বলেন, আমার কাছে মনে হয় এখানে পণ্য দাম অনেক কময় কারণ এদের দোকান ভাড়া লাগে না ফলে অল্প লাভেই বিক্রি করে আমরাও লাভবান হই কম দামে পেয়ে। ঈদের খুশির মাত্রা বাড়ায় নতুন পোশাক। যারা এখনো পরিবার স্বজনদের নিয়ে কেনাকাটা করেননি তারা এখনো ছুটছেন মার্কেটে। আর ঢাকার অনেকেই চাঁদ রাতে কেনাকাটা বেশি পছন্দ করেন। সে হিসেবে আগামী কয়েকটা দিন সকাল থেকে রাত অবধি ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকবে মার্কেট। খুশির ঈদ এলো বলে কথা।
×