ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন্স লীগে নিষিদ্ধ হচ্ছে ম্যানসিটি!

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ১৫ মে ২০১৯

চ্যাম্পিয়ন্স লীগে নিষিদ্ধ হচ্ছে ম্যানসিটি!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বারবার সতর্ক করে দেয়ার পরও দলবদলে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করার কারণে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়েছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়ম ভেঙ্গে খেলোয়াড় কেনার দায়ে সিটিজেনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বন্দোবস্ত প্রায় সেরে ফেলেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা। তারাই নাকি সিটিকে নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে। এ সংক্রান্ত রায় আসতে পারে চলতি সপ্তাহেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ও প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষ। ক্লাবটি যে সব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের নিয়ম ভঙ্গ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সেগুলো পর্যালোচনা করার জন্য উয়েফার আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তদন্ত বিভাগের সদস্যরা দুই সপ্তাহ আগে সুইজারল্যান্ডে বৈঠকে বসেছিল বলে জানা গেছে। নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তদন্ত প্যানেলের প্রধান বেলজিয়ামের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইভেস লেটেরমে রিপোর্টটি নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক করবেন এবং যথাসম্ভব এই সপ্তাহের মধ্যেই সেটি নথিভুক্ত করা হবে। তবে আগামী মৌসুম থেকেই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার আদেশ কার্যকর করা হবে, নাকি ২০২০/২১ মৌসুম থেকে এটি কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও অভিজাত এই ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। তাই এই নিষেধাজ্ঞা চূড়ান্ত করার জন্য তারা সময় পাচ্ছে খুব কম। যদি কোন রকম শাস্তি আরোপ করা হয় তাহলে ম্যানচেস্টার সিটিরও অধিকার আছে কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টসের (ক্রীড়া আদালত) বিরুদ্ধে আপীল করার। এদিকে যে কোন ধরনের আর্থিক অনিয়মে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। গত মার্চে তারা উয়েফার তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এর মাধ্যমে তারা অনিয়মের দুর্নাম থেকে মুক্তির সুযোগ পাবে। সাধারণত এসবক্ষেত্রে একাধিকবার ক্লাবগুলোকে সতর্ক করে দেয় উয়েফা। এরপরও কোন ফল না পেলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে উয়েফা আয়োজিত যে কোন প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ হারায় ক্লাবগুলো। ২০১৪ সালে ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়ম ভাঙ্গার দায়ে ম্যানসিটিকে ৬০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছিল উয়েফা। নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই বছর চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ২৫ জনের জায়গায় ২১ জনকে নিয়ে খেলতে হয়েছিল সিটিজেনদের। এদিকে প্রিমিয়ার লীগের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির পরবর্তী অধিানয়ক হিসেবে পর্তুগালের বার্নাডো সিলভাকেই এগিয়ে রাখছেন বর্তমান অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানি। সিটি অধিনায়ক হিসেবে গত রবিবার চতুর্থবারের মতো প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা হাতে নিয়েছেন কোম্পানি। শিরোপা দৌড়ে লিভারপুলের চ্যালেঞ্জকে সমান তালে মোকাবেলা করে শেষ ম্যাচে ব্রাইটনকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে পেপ গার্ডিওলার দলের শিরোপা নিশ্চিত হয়। সিটির হয়ে দারুণ এক মৌসুম কাটিয়েছেন পর্তুগাল প্লেমেকার সিলভা। লীগে এবার তিনি সাত গোলের পাশাপাশি সাতটিতে অন্যদের সহযোগিতা করেছেন। কোম্পানি বিশ্বাস করেন আগামী বছরগুলোতে সিটিকে নেতৃত্ব দেয়ার সবধরনের গুণাবলী সিলভার রয়েছে। সাক্ষাতকারে কোম্পানি বলেন, আমি অনেক সময় মজা করে সিলভাকে বলেছি তুমি ৫০ শতাংশ ক্লাউন, ৫০ শতাংশ লিডার। যখন সে ২৫ শতাংশ ক্লাউন ও ৭৫ শতাংশ লিডার হয়ে উঠবে তখনই সিটিকে নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা অর্জন করবে। সে এতটাই শক্তিশালী ও সৎ একজন মানুষ যে এই মুহূর্তে সিটির অধিনায়ক হবার মতো যোগ্যতা তারই আছে। ২৪ বছর বয়সী সিলভা এবার পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় শীর্ষ তিনজনের মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডিকের কাছে হেরে যান। তবে পিএফএ বর্ষসেরা দলে সিলভা ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন।
×