ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হতাশ বাংলাদেশ কোচ রোডস

প্রকাশিত: ১০:২২, ১১ মে ২০১৯

হতাশ বাংলাদেশ কোচ রোডস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে উড়ে যাওয়া স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড দলটি বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পাওয়ার কথা নয়। সেই হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার কথা বাংলাদেশেরই। তাতে পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ারও কথা বাংলাদেশের। কিন্তু বৃষ্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়নি। পরিত্যক্ত হয়েছে। তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে ২ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশই ৬ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি থেকে সবার ওপরে আছে। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি না হওয়ায় হিসেবের খাতা থেকে ২ পয়েন্ট কমে গেছে। বৃষ্টিতে পয়েন্ট খুইয়ে তাই হতাশ বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। তিনি বলেছেন, একটু হতাশই আমরা। এই ম্যাচটি জিততে খুব করে চাইছিলাম আমরা। আবাহাওয়া নিয়ে আমরা হতাশ, তবে করার তো কিছুই নেই। মিশ্র অনুভূতি সত্যি বলতে। তবে নিশ্চিতভাবেই ২ পয়েন্টের বেশি চাইছিলাম আমরা। সঙ্গে যোগ করেন, বছরের এই সময়টাতে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে সামনেও অনেক খেলা আছে। দুর্ভাবনার ব্যাপার হবে যদি পরেরদিনও বৃষ্টি হয়। কারণ অনুশীলন আছে আমাদের। সেটিও করতে না পারলে খারাপ হবে। আশাকরি আবহাওয়া ঠিক থাকবে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বৃষ্টির জন্য অনুশীলন করতে পারেননি ক্রিকেটাররা। হোটেলবন্ধী ছিলেন। ম্যাচের দিনও বৃষ্টি ঝরেছে। বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজকে আদর্শ প্রস্তুতি হিসেবে ধরা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি তা হতে দিচ্ছে না। সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে। এই ম্যাচের দিনে আপাতত বৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যদি হয় তাহলে প্রস্তুতি ঠিকমতো করাটাই কঠিন হয়ে পড়বে। তাই হতাশা আরও বাড়ছে। টুর্নামেন্টের নিয়ম নিয়েও তাই চটেছেন কোচ। বলেছেন, টুর্নামেন্টের নিয়মটা একটু কৌতূহলোদ্দীপক। কারণ বোনাস পয়েন্টসহ জিতলে ৫ পয়েন্ট। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া মানে ৩ পয়েন্ট হারানো। আমরা যে পয়েন্ট পদ্ধতিতে অভ্যস্ত সেখানে জিতলে পাই ২ পয়েন্ট, খেলা না হলে ১। আমরা বোনাস পয়েন্টের চেষ্টাই করতে পারলাম না। সেদিক থেকে আমরা হতাশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেকে উপস্থাপন করে বিশ্বকাপের দলে ঢোকার আশা ছিল তাসকিন আহমেদ, ফরহাদ রেজা, ইয়াসির চৌধুরী, নাঈম হাসানের। কিন্তু তারা সেই সুযোগ পাচ্ছেন না। কারণ না ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারছেন। না ম্যাচ খেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে পারছেন। এ নিয়েও কোচের হতাশাই ঝরেছে। বলেছেন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতলে সামনে হয়তো আমরা ওদের পরখ করতে পারতাম। তা হলো না, কেবল দুটি পয়েন্টই পেলাম। ওদের কয়েকজনের খেলার সম্ভাবনা তাতে কিছুটা হলেও কমে গেল যা খুবই হতাশার। এর মধ্যেও দলের সঙ্গে যে আছেন, সেটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কোচ, দুনিয়ার সবকিছু তো আদর্শ নয়। ওরা যারা আছে, বিশেষ করে ইয়াসির ও ফরহাদ, ওদের ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখেছি আমি। ভাল লেগেছে ওদের খেলা। এখানে কাছ থেকে দেখতে চেয়েছিলাম। ওদের পেশাদারিত্ব, কিভাবে দলে মিশতে পারে, এসব দেখতে চেয়েছিলাম। দু’জনই সেসব খুব ভাল পেরেছে। সঙ্গে যোগ করেন, আশাকরি ওরা দু’জনই সুযোগ পাবে। যদি সুযোগ না হয় এরপরও ইতিবাচক অনেক কিছু আছে। ওদের আরও ভাল করে জানতে পারছি, এই পরিবেশে দেখছি। ওরাও নিজেদের দেখাতে পারছে, বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে অনুশীলন করছে, এসবও কম নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখতে পারলে ভাল লাগত। তবে সেই সুযোগ না হলেও যেটুকু হচ্ছে তা কম নয়। এখন বাংলাদেশ দলের সামনে কঠিন পরীক্ষা আসতে পারে। যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আজ কোনভাবে হারিয়ে দেয় আয়ারল্যান্ড তাহলে আইরিশরা বাংলাদেশের সমান ৬ পয়েন্ট হয়ে যাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫ পয়েন্টই থাকবে। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হারলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। যদি কোনভাবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও অঘটন ঘটে যায়। যদি তা না ঘটে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে যায় বাংলাদেশ তাহলেই ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে। এত কিছুর হিসেবে হয়তো যেতেই হতো না যদি আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত না হয়ে বাংলাদেশ জিতত। জেতার আশা ছিল। তাইতো ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কোচের ভেতর হতাশা আছে।
×