ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জ-আবাহনীর মধ্যেই শিরোপা লড়াই

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২০ এপ্রিল ২০১৯

রূপগঞ্জ-আবাহনীর মধ্যেই শিরোপা লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের শিরোপা লড়াইটি তাহলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েই বোলিং ভেল্কি দেখিয়েছেন রূপগঞ্জের তাসকিন আহমেদ। তার ৪ উইকেট শিকারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর শাহরিয়ার নাফীসের সেঞ্চুরিতে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে রূপগঞ্জ। রূপগঞ্জের জয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। মোহামেডানের অবশ্য আগেই সেই আশা শেষ হয়েছে। শুক্রবার মোহামেডানকে ৭ উইকেটে হারানোর পরও শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়েছে শেখ জামালের। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অসাধারণ বোলিংয়ে প্রাইম ব্যাংককে ৬ উইকেটে হারিয়ে রূপগঞ্জের শিরোপা স্বপ্নে নিঃশ্বাস ফেলছে আবাহনী। এখন সুপার লীগে সব দলেরই দুটি করে ম্যাচ আছে। আবাহনী যদি আর কোন ম্যাচ না হারে, রূপগঞ্জ যদি আবাহনীর সঙ্গে ম্যাচটিতে হারে তাহলে আবাহনী শিরোপা জিততে পারে। রূপগঞ্জ-দোলেশ্বর ম্যাচ, বিকেএসপি ॥ শিরোপা প্রত্যাশায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে রূপগঞ্জ। দলটি ম্যাচও জিতে চলেছে। এখনও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। দোলেশ্বরকে হারিয়ে আরও ২ পয়েন্ট যোগ করেছে। তাতে ২৪ পয়েন্ট হয়ে গেছে। দলটির বিপক্ষে প্রতিপক্ষের কুলিয়ে ওঠাই যেন কঠিন হয়ে পড়েছে। আগে ব্যাট করে দোলেশ্বর যেমন ৪৫ ওভারে ২০৫ রানের বেশি করতে পারেনি। অলআউট হয়ে গেছে। ম্যাচটিতে নজর কেড়েছেন তাসকিন। তিনি ৪ উইকেট শিকার করেছেন। লীগের শেষ ম্যাচটি খেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। বিশ্বকাপ দল থেকেও বাদ পড়েছেন। বাদ পড়েই সুপার লীগে খেলতে নেমে গতির ঝড় তুলেছেন। রান অবশ্য সবচেয়ে বেশি (৫৪) দিয়েছেন। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে মোহাম্মদ শহীদের (৩/৩৫) নৈপুণ্যে দোলেশ্বর অল্প রানেই গুটিয়ে গেছে। এরপর ব্যাট হাতে নেমে শাহরিয়ার নাফীসের অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪.২ ওভারে ২০৮ রান করে সহজেই জিতে রূপগঞ্জ। রূপগঞ্জের জয়ে ১৮ পয়েন্টে থাকা শেখ জামাল, ১৬ পয়েন্টে থাকা প্রাইম ব্যাংক ও দোলেশ্বর এবং ১২ পয়েন্টে থাকা মোহামেডানের শিরোপা স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়ে গেছে। হাতে যে সব দলেরই ২টি করে ম্যাচ আছে, তা জিতলেও বাদ পড়া এই চারদল রূপগঞ্জের কাছে যেতে পারবে না। স্কোর ॥ দোলেশ্বর ইনিংস- ২০৫/১০; ৪৫ ওভার (সৈকত ৭২, সাইফ ৩৭; তাসকিন ৪/৫৪, শহীদ ৩/৩৫)। রূপগঞ্জ ইনিংস- ২০৮/৩; ৪৪.২ ওভার (শাহরিয়ার ১১৩*, মারুফ ৪১, নাঈম ৩২*; মানিক ১/৩২)। ফল ॥ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শাহরিয়ার নাফীস (রূপগঞ্জ)। আবাহনী-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ, মিরপুর ॥ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনতো দুর্দান্ত নৈপুণ্য করেই চলেছেন। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন। তবে শুক্রবার প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন। একাই ৫ উইকেট শিকার করেছেন। তার এমন বোলিংয়ে ২২৬ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। ৪৯.৩ ওভারে এই রান করতেই গুটিয়ে গেছে প্রাইম ব্যাংক। এর মধ্যেও অলক কাপালী ৮০ ও নাঈম হাসান অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস উপহার দেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সৌম্য সরকার ২টি করে উইকেট শিকার করেন। জবাব দিতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ৭৭, ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াসিম জাফরের ৬৪ ও মোহাম্মদ মিঠুনের অপরাজিত ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৪.৪ ওভারে জিতে যায় আবাহনী। এই জয়ে আবাহনীর ভা-ারে এখন ২২ পয়েন্ট আছে। শিরোপা স্বপ্ন উজ্জ্বল হয়েই আছে। যদি কোনভাবে রূপগঞ্জকে হারানোর সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে জিতে আবাহনী তাহলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে আবাহনী। স্কোর ॥ প্রাইম ব্যাংক ইনিংস- ২২৬/১০; ৪৯.৩ ওভার (কাপালী ৮০, নাঈম ৫১*; সাইফউদ্দিন ৫/৩২)। আবাহনী ইনিংস- ২২৮/৪; ৪৪.৪ ওভার (শান্ত ৭৭*, জাফর ৬৪, মিঠুন ৩৩*; নাঈম ২/৪৯)। ফল ॥ আবাহনী ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (আবাহনী)। শেখ জামাল-মোহামেডান ম্যাচ, ফতুল্লা ॥ মোহামেডানের শিরোপা স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে গেছে। সুপার লীগেইতো কত কষ্ট করে উঠতে হয়েছে। দলটি সুপার লীগে এসে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। টানা তিন ম্যাচ হেরেছে। শুক্রবার শেখ জামালের কাছেও হেরেছে। তবে শেখ জামালের দুর্ভাগ্য বলতে হবে। ম্যাচটি জিতেও তারা শিরোপা আশা থেকে ছিটকে পড়ল। আগে ব্যাটিং করে যখন মোহামেডান ১৫৯ রান করে তখনই শেখ জামালের জেতার আশা তৈরি হয়ে যায়। তানভির হায়দার একাই ৪ উইকেট নেন। তুষার ইমরান ৫৬ রান করেন। জবাবে নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ৮৩ ও ইমতিয়াজ হোসেনের ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৩.৩ ওভারে ১৬৩ রান করে জিতে শেখ জামাল। স্কোর ॥ মোহামেডান ইনিংস- ১৫৯/১০; ৪৪.৪ ওভার (তুষার ৫৬, লিটন ২৬; তানভির ৪/১৬)। শেখ জামাল ইনিংস- ১৬৩/৩; ৩৩.৩ ওভার (সোহান ৮৩*, ইমতিয়াজ ৫৪)। ফল ॥ শেখ জামাল ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নুরুল হাসান সোহান (শেখ জামাল)।
×