ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে ববি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

প্রকাশিত: ১২:৪২, ১১ এপ্রিল ২০১৯

মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে ববি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ববির উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বরিশাল-কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-ভোলা মহাসড়কের ওপর শামিয়ানা টাঙিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচী শুরু করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা মাথায় সাদা কাপড় বেঁধে মহাসড়কে অবস্থান নেন। অবরোধের কারণে সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার লিখিত কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচী চালিয়ে যাবেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও ইট ফেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরির পাশাপাশি টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ওই মহাসড়কসহ ভোলা-বরিশাল মহাসড়কেও যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যেকারণে বরিশাল, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, ভোলা ও বরগুনা জেলার যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়কের দুপাশে শত শত যাত্রীবাহী পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সবধরনের যানবাহন আটকা পড়েছে। ফলে মহাসড়কের দুইপ্রান্তের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন যাত্রীরা। তবে অসুস্থ রোগী বহনকারী যানবাহনসহ জরুরী সেবার যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দিচ্ছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শফিকুল ইমলাম ও লোকমান হোসেন জানান, তাদের একদফা দাবি (ভিসির পদত্যাগ) আদায় না হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধের এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। তারা আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার কলাবাগানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিয়াজোঁ কার্যালয়ে সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাদের আশা ছিল, ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে সিদ্ধান্ত আসবে। উপাচার্য পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই মঙ্গলবার রাতের ওই সভা শেষ হয়। এ অবস্থায় ওইদিন (মঙ্গলবার) গভীর রাতেই তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচীর আহ্বান করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হলেও সেখানে উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় প্রতিবাদ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
×