ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশাল নগরীর সিসি ক্যামেরা অচল ॥ বাড়ছে অপরাধ

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ৯ এপ্রিল ২০১৯

বরিশাল নগরীর সিসি ক্যামেরা অচল ॥ বাড়ছে অপরাধ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ডবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণস্থানে স্থাপিত ২৬১টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার সবগুলোই অচল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ক্যামেরাগুলো বিকল থাকার কারণে নগরীতে দিন-দুপুরে অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। এমনকি অপরাধী চক্রও ক্রাইম সংঘটিত করে অনেকটা নিরাপদে পালিয়ে যাচ্ছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধ দমন ও অপরাধীদের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন অপরাধ প্রবণতার তদন্তে নেমেও অপরাধীদের শনাক্ত করতে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছেন। সূত্রমতে, অতি সম্প্রতি নগরীর জেলেবাড়ির পোল নামক এলাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানার ম্যানেজারকে প্রকাশ্যে মারধর করে আট লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার পর সিসি ক্যামেরা বিকল থাকার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। পুলিশ জানায়, ছিনতাই স্পটের আশপাশে সিটি কর্পোরেশনের স্থাপিত বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে কিন্তু সবগুলো ক্যামেরাই অচল হওয়ার কারণে ছিনতাইয়ের কোন দৃশ্য ধারণ হয়নি। ফলে প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিক্টিমের বর্ণনা অনুসারে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ছিনতাইয়ের ঘটনার পর নগরবাসী জরুরী ভিত্তিতে সিসি ক্যামেরা সচল করতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে জোর দাবি করেছেন। সচেতন নগরবাসীর মতে, দ্রুত সিসি ক্যামেরা সচল না করা গেলে অপরাধের মাত্রা দিনদিন আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নগরবাসীর নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনা ঘিরে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। যার অংশ হিসেবে শহরের ৩০টি ওয়ার্ডে দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬১টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল তৎকালীন মেয়র আহসান হাবিব কামাল আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ক্যামেরা উদ্বোধন করেন। এমনকি ওইসময় এসব ক্যামেরা তদারকির জন্য আটটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ করেছিল বিসিসি। কিন্তু উদ্বোধনের পর দুই মাসের মাথায় এসব ক্যামেরার প্রায় ৮০ ভাগ সংযোগ তার (অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল) চুরি হয়ে যায়। আবার বেশ কিছু ক্যামেরায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে এসব ক্যামেরা সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে অচল ক্যামেরাগুলো সচল করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে সিসি ক্যামেরাগুলো বিকল হয়েই পড়ে রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগও নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা স্থাপন জরুরী বলে মনে করছে। কিন্তু বরাদ্দ না পাওয়ার আগে অচল সিসি ক্যামেরা সচল করা সম্ভব নয় বলেও তারা উল্লেখ করেন। কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) খাইরুল আলম বলেন, আমি যোগদানের অনেক আগে ক্যামেরাগুলো বসানো হওয়ায় বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তার পরেও বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সিটি মেয়র সেরনিয়বাত সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা হয়েছে।
×