ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে সেতু আছে ॥ সড়ক নেই

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৯ এপ্রিল ২০১৯

টাঙ্গাইলে সেতু আছে ॥ সড়ক নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৮ এপ্রিল ॥ নাগরপুরে সেতু নির্মাণের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও দু’পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার ৭ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। নাগরপুর উপজেলা সদরে আসতে মরণফাঁদ অতিক্রম করতে হচ্ছে উপজেলা সদর ইউনিয়নের আলোকদিয়া, আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা ও ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া, সিংদাইর, খাগুরিয়াসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। এলাকাবাসী জানান, আশপাশের প্রায় ৭ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া পাকার মাথা থেকে এক পাকা রাস্তা ও নোয়াই নদীর ওপর সেতু। নোয়াই নদীর ওপর সেতু নির্মিত হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সেতু নির্মিত হলেও তারা ব্যবহার করতে পারছে না। তার ওপর তাদের যে হাঁটার রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে। জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভালকুটিয়া থেকে আলোকদিয়া যাওয়ার পথে নোয়াই নদীর ওপর ৭২.৬ মিটার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মের্সাস দাস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ বছর পর ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে। সেতু নির্মাণের পর দু’পাশে ২০০ মিটার করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় সেতুর নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী স্থানীয় বাসিন্দা চন্দনা আক্তার, রহিমা বেগম, আকলিমা আক্তার জানান, আগে সেতু ছিল না তখন যেভাবে নৌকায় ও কাপড় ভিজিয়ে রাস্তা পার হয়েছি, সেতু নির্মাণের পরও একই অবস্থা। আলোকদিয়া গ্রামের আলম শিকদার জানান, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন করছে ব্যাপক হারে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম, অবহেলা এবং সরকারী কর্মকর্তাদের উদাসীনতা সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলম হোসেন জানান, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল সেতু। কিন্তু সেতু নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরূহ হয়ে পড়েছে। মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জটিলতা বাঁধে। তারা অন্যের জমিতে বাংলা ড্রেজার লাগিয়ে বালু তুলতে গেলে জমির মালিক বাধা দেয়। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহীনুর আলম জানান, মামলা জটিলতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা নতুন করে মাটি ভরাটের জন্য টেন্ডার আহ্বান করব। আর পাকা রাস্তা থেকে সেতু পর্যন্ত রাস্তার জন্য আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
×