ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪ ভবন ॥ প্রাণহানির আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১২:০৫, ৪ এপ্রিল ২০১৯

বরিশালে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪ ভবন ॥ প্রাণহানির আশঙ্কা

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪টি বহুতল ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে। ভবনগুলো চার বছর আগে চিহ্নিত করা হলেও আজও ভাঙতে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে বসবাসরত মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও নিশ্চুপ রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে ভবনগুলোতে বসবাস বন্ধ করা যাচ্ছে না। বরং দিনে দিনে এসব ভবনে বসবাসের রীতি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোন সময় ভবনগুলো ধসে পরে বড় ধরনের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন সচেতন নগরবাসী। জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় নগরীর বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক ভবনও রয়েছে। ওইসব অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় মধ্যে বসবাস করছে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ শহরের ৩৪টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। ওইসময় সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের উধর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসব ভবন ভাঙতে মালিকদের চিঠিও দিয়েছিল। পরর্তীতে বিষয়টি আর কার্যকর করা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণর তালিকায় রয়েছে, নগরীর কাউনিয়া প্রধান সড়কে প্রায় দেড় শ’ বছরের পুরনো জমিদার মোহন ব্যানার্জীর বাড়ি। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনে ৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন দুটি পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস, বিএম কলেজের সুরেন্দ্র ভবন ছাত্রাবাস, বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী হোস্টেল ও সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শহীদ আলমগীর ছাত্রাবাস। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটিতেই রয়েছে মানুষের বসবাস। এমনকি কোন কোন ভবনে একাধিক ব্যক্তি বিশেষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ভবনগুলোতে বসবাস করলেও বাসিন্দারা বলছেন, অন্য কোথাও ঘর ভাড়া করে থাকার সামর্থ্য তাদের নেই। যে কারণে বাধ্য হয়েই তারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বসবাস করছেন। একই কথা জানিয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ছাত্রাবাসে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) খাইরুল আলম জানান, বিগতদিনের কাগজপত্র অনুসারে শহরের হাসপাতাল রোডের বহুতল হ্যাপি নিবাসসহ ৩৪টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বিষয়টি মেয়র সেরনিবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে অবহিত করা হয়েছে। মেয়র ভবনগুলো ভাঙার জন্য মালিকদের চিঠি দিতে বলেছেন।
×