ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চীনা প্রেসিডেন্টের কঠোর বার্তার উল্টো প্রতিক্রিয়া

সময় এখন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের অনুকূলে

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সময় এখন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের অনুকূলে

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন বছরের ভাষণে তাইওয়ানকে একত্রীকরণের বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করে কঠোর বার্তা দেন। এর মাধ্যমে তিনি চীনের পক্ষ নেয়াদের প্রতি নমনীয় আচরণ ও যারা স্বাধীনতার দাবি তুলবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সমালোচনা করা হয়নি। এর পরিবর্তে বরং স্বাধীনতাপন্থী তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের প্রতি জনসমর্থন বেড়েছে। এপি। গতবছর স্থানীয় নির্বাচনে তার দলের শোচনীয় পরাজয়ের পর তার সমর্থন বেড়েছে। স্বশাসিত দ্বীপ দেশটিতে গণতন্ত্র শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বেজিংয়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক হুমকি সত্ত্বেও চীনের দাবি প্রতিহত করার মতোই তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী। তাইপেতে অবস্থিত চাইনিজ কালচার ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কুও লিন-হান (২৬) বলেন, শির প্রস্তাব করেছেন তাইওয়ানকে পুুরোপুরি নিজের আয়ত্বে নিয়ে যাওয়ার। যদিও কুও চীনের প্রস্তাবকে এক দেশ দুই ব্যবস্থার কথাটি উল্লেখ করে বলেন, শি তার দুই জানুয়ারির ভাষণে নতুন করে পুনরেকত্রীকরণের কথা বলেছেন। যার অধীনে তাইওয়ান নিজস্ব অর্থনৈতিক ও আইনী ব্যবস্থা বজায় রেখে চীনের অধীনস্থতা গ্রহণ করবে। যার ভিত্তিতে চীনের অধীনে ফেরা হংকংয়ের কাঠামোকে অনুসরণ করার কথা বলেছেন। বেশিরভাগ তাইওয়ানবাসীর কাছে বিষয়টি খুবই শ্রুতিকটু। শি তার ভাষণে এই কথাটি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, দ্বীপটিকে নিয়ন্ত্রণে নিতে বেজিং সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শির বক্তব্যের চারদিনের মধ্যে সাই গণমাধ্যমে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। যার ফলে তার জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।
×