ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাহিদা সাম্য লীনা

আবেগের বয়স

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

আবেগের বয়স

টিনএজ বয়সটা একটা ঝুঁকির। আবেগের বয়স। যে কোন ভুল সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, হয়ে যায় কোন অঘটন। এই বয়সটা ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য মারাত্মক আবেগের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে ১৪ থেকে ২০ বছরের ছেলেমেয়েরা এমন হয়। অল্পতে মন খারাপ, খিটখিটে স্বভাব, কথায় কথায় কাঁদা ইত্যাদি নানা অনুষঙ্গ তাদের মধ্যে দেখা দেয়। এক সময় তারা প্রেমেও পড়ে। একই ক্লাসের মেয়েরা বা ছেলেরা সহপাঠীর প্রেমে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এসব বয়সীরা আজকাল বেশি ব্যবহারের কারণে অনাকাক্সিক্ষত ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। একে-অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। এমনকি মেয়েরা বয়সে দ্বিগুণের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ফেক আইডির মাধ্যমে। আবার কোন খারাপ মানুষের সঙ্গে। যারা দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার। এমন বহু নিউজ পত্রিকায় আসে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে দেখা-সাক্ষাত, মোবাইল চ্যাটে প্রতিদিন মশগুল থাকে। রাত জেগে বিভিন্ন এ্যাপসে কথা বলা একটা নেশা। মা-বাবার আড়ালে চলে এসব দিনের পর দিন। প্রতিনিয়ত একে-অপরের অনুভূতি প্রকাশ করতে, প্রেম-ভালবাসার গভীরতা প্রকাশে তারা নানারকম চমক নিয়ে হাজির হয় পার্টনারের কাছে। ইদানীং একেকজন একাধিক বন্ধুত্বও করে। ফলাফল এক সময় বেয়াড়া আচরণে তারা ফেঁসে যায়। কথা কাটাকাটি, মারধর, হুমকি চলে উভয়ের প্রতি। অভিভাবক সন্তানের বিস্তর পরিবর্তনে অনেক সময় রূঢ় হোন, কঠোর হোন। এ সময়টা অভিভাবক বিশেষ করে বয়ঃসন্ধি সময়টা আসার কিছু পূর্বে সচেতন হলে এমন অবস্থায় পড়তে হয় না। তাদের সঙ্গ দেয়া, তাদের পছন্দ-অপছন্দ জানা ও ভাল-খারাপ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা একজন টিনএজারকে অনৈতিক, বিপথে, ভুল সিদ্ধান্তে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। ওদের যথার্থ সময় দেয়া, বেড়ানো, সব বিষয়ে সরাসরি তাদের বয়সানুযায়ী শেয়ার করা একজন সচেতন, শিক্ষিত অভিভাবকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ট্রাংক রোড, ফেনী থেকে
×