ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় অবিরাম গতিতে চলছে নদী পরিষ্কারের কাজ

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯

 ইন্দোনেশিয়ায় অবিরাম গতিতে  চলছে নদী পরিষ্কারের কাজ

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে পিসাং বাতু, বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত নদীগুলোর একটি। সেটি এখন পরিষ্কারের কাজ চলছে। কষ্ট স্বীকার করে সাধারণ মানুষ পরিষ্কার করার কাজে অংশ নিয়েছে। স্টার অনলাইন। একাধিক সরকারী কর্তৃপক্ষ ২৬ কোটি জনগণের মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সংস্কৃতির অভাব অথবা পরিবেশগত সচেতনতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের উচ্চাকাক্সক্ষামূলক লক্ষ্য হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জের পরিমাণ ৭০শতাংশ কমিয়ে নেয়া। যদিও বছরে এক বিলিয়ন ডলারের (৪.২ বিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা আরএম) একটি কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। তারুমাজায়ার গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মারজুকি বলেন, প্রতিবার বৃষ্টি ও বন্যায় পুরো গ্রামের লোকজন আবর্জনা ও নদী পরিষ্কারে সহায়তা করে। পিসাং বাতু নদীর তীর উজানের গ্রামগুলোর আবর্জনা বহন করার সময় এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়। আমরা নদী পরিষ্কারের কাজটি বন্ধ করি না। তারপরও আবর্জনা আসা বন্ধ হয় না। যদিও পিসাং বাতু নদীটি অনেক বর্জ্যে ভরে যায়। তারপরও দেখা যায় এসব বর্জ্যরে বেশিরভাগই প্লাস্টিকের। এর মধ্য দিয়ে বছরে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন টন বর্জ্য সমুদ্রে পড়ছে। ইন্দোনেশিয়ায় ১৭ হাজারের ওপর দ্বীপ রয়েছে। এক হিসেবে দেশটি চীনের পর দ্বিতীয় সমুদ্র দূষণকারী দেশ। তারুমাজায়া গ্রামের নিরাপত্তা প্রধান সুসেনো বলেন, নদীর আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য আমরা ২৫টি ময়লার গাড়ি কিনেছি। যা দিয়ে প্রতিদিন তিনবার ময়লা নেয়া হয়। বাস্তবতা হলো, আমরা অর্ধেক ময়লাও সাফ করতে পারিনি। এদিকে জাভা তার নদীগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অবকাশ দ্বীপ বালি এ বছর বড় বিপণিবিতান ও মুদি দোকানে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কেননা ছোট দোকানগুলোতেই প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যাপক ব্যবহার হয়।
×