ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন গঠিত

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন গঠিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের ফুটবল উন্নয়নের বৃহত্তর লক্ষ্যে ও একই সঙ্গে কাজ করার জন্য গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে ঢাকার প্রিমিয়ার লীগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ, সিনিয়র ডিভিশন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ৫৭টি ক্লাবের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গঠিত হয় বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন। নবগঠিত বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট ফুটবল সংগঠক তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি মমিনুল হক সাঈদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন প্রতিনিধিরা। ক্লাব প্রতিনিধিদের স্বতঃস্ফূর্ত মিলনমেলায় উঠে আসে ফুটবলে পরিবর্তনের ডাক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাফুফে সহ-সভাপতি বাদল রায়, বাফুফে সদস্য ফজলুর রহমান বাবুল, সাবেক জাতীয় ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, আব্দুল গাফফার, ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টু, বাফুফে সাবেক সভাপতি এসএ সুলতান। বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও প্রবীণ রাজনীতিক মোজাফফর হোসেন পল্টু তার বক্তব্যে বলেন,‘ কাজী সালাহউদ্দিন যখন বাফুফের নেতৃত্বে বসেন তখন তাকে ঘিরে আমাদের এক রাশ প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা হতাশায় রূপান্তরিত হয়েছে। আমি নবগঠিত এই ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনকে সমর্থন জানাচ্ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় খেলা ফুটবলে নতুন প্রাণ সঞ্চারের আহ্বান জানাচ্ছি। ’ বাফুফে সহ-সভাপতি বাদল রায় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘ফুটবলাঙ্গনে আর আর্তনাদ শুনতে চাই না। পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন। আমরা সেই প্রচেষ্টা শুরু করলাম। আমি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। আমি মনে করি ফুটবল উন্নয়ন ও বাফুফের সভাপতিত্ব এক সঙ্গে চলমান হবে না। সালাউদ্দিন সরে গেলেই ফুটবল উন্নয়ন সূচিত হবে।’ তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘ফুটবলে বর্তমানে পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলার বড়ই অভাব। ফুটবল উন্নয়নের সকল উপাদান আজ নিম্নমুখী। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ফুটবলকে বাণিজ্যিকভাবে ও খেলার মাঠে কোনদিকেই উন্নতি করতে পারেনি। আজ ফুটবলে নেমে এসেছে একরাশ অন্ধকার। এই ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ফুটবলের পরিবর্তনের ধারা শুরু হলো। বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। মমিনুল হক সাঈদ ক্লাব সংগঠকদের সম্মিলিতভাবে নিজেদের অবস্থান প্রমাণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই ফুটবল সৈনিক। ফুটবলের ভালবাসা ও ফুটবলের উন্নয়নই আমাদের স্বপ্ন। বাংলাদেশের ফুটবলকে বর্তমান নি¤œগামী ধারা থেকে বের করে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ফুটবলের উন্নয়ন ও পরির্তন অবশ্যই সম্ভব।’ আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের দল নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন ভুঁইয়া শাহীন, নারিন্দা স্পোর্টিং ক্লাবের শাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু, নবাবপুর ক্রীড়াচক্রের সভাপতি আলিমুজ্জামান আলম, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ভিক্টোরিয়া ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন, বাড্ডা জাগরণীর সহ-সভাপতি আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স, সাবেক জাতীয় ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু, আব্দুল গাফফার ও ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টু। তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন তার প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ দলগুলোর জন্য পাঁচ লাখ, সিনিয়র ডিভিশনের জন্য সাড়ে তিন লাখ, দ্বিতীয় বিভাগ আড়াই লাখ ও তৃতীয় বিভাগ দুই লাখ টাকা দেবার ঘোষণা দেন তরফদার রুহুল আমিন। এছাড়া ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন এবং নবগঠিত বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি নিয়ে কক্সবাজারে ফুটবল মহাসম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
×