ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চীন ও মার্কিন সঙ্কট নিরসনের আশা

বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১১ জানুয়ারি ২০১৯

 বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে তিন দিনব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক ইতিবাচক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বুধবার শেষ হয়েছে। উভয়ের মধ্যে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য বৈঠকে বেশকিছু বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর মধে রয়েছে কাঠামোগত ইস্যু যার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ অভিযোগ করেছে। উভয় পক্ষের বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। স্ট্রেইট টাইমস। বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় পক্ষই বাণিজ্য ও কাঠামোগত ইস্যু নিয়ে পারস্পরিক উদ্বেগগুলো ব্যাপক, গভীর ও খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে সুসম্পন্ন করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই আলোচনা পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও এগিয়ে নিয়েছে এবং একে অপরের উদ্বেগগুলো সমাধানের জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করেছে। এতে আরও বলা হয়, উভয় পক্ষই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে সম্মত হয়েছে। তবে এর আগে ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টিটিভের (ইউএসটিআর) অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, চীনে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো অর্জনের লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। এর সঙ্গে বাধ্যতামূলক প্রযুক্তি হস্তান্তর, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ রক্ষা, অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক গোপনীয়তায় সাইবার অনুপ্রবেশ, সাইবার চুরি এবং সেবা ও কৃষিসহ আরও বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচানা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা বুধবার তৃতীয় দিনের মতো অনির্ধারিত আলোচনা অব্যাহত রাখে। মার্কিন কৃষি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি টেড ম্যাককিনি বলেন, আলোচনা ঠিকমতো অগ্রসর হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার টুইটারে চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করার একদিন পর তিনি ওই মন্তব্য করেন। বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে আলোচনার ফল কি হবে তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। আলোচনা সফল হওয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন চীনের কাঠামোগত সংস্কারের শর্ত দিয়ে রেখেছে। ওয়াশিংটন মনে করে এটি করা না হলে মার্কিন প্রযুক্তি চুরি বন্ধ হবে না। তবে চীন এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। দুপক্ষের মধ্যে বর্তমানে সমঝোতার ইচ্ছা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আলোচনা সফল হলে দুপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধের অবসান ঘটতে পারে। চীন ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা শুরুর পর মঙ্গলবার ১১ সপ্তাহের মধ্যে প্রথম বারের মতো শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে ইউরোজোন অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হতে পারে এই আশঙ্কায় এদিন ইউরো কিছুটা দুর্বল ছিল। ডিসেম্বরে ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য লড়াই ৯০ দিন স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছিলেন। এরপর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হলো। আলোচনা থেকে কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়া না গেলে ২ মার্চ থেকে আমদানি করা চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ঘোষণা করা হারে শুল্ক আরোপিত হবে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন চীন থেকে আমদানি করা ২শ’ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্যের ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হবে। গত বছর দেশ দুটি একে অন্যের বিরুদ্ধে একাধিকবার শুল্ক ও পাল্টা শুল্ক আরোপ করে।
×