যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চীফ অব স্টাফ কেভিন সুয়েনি পদত্যাগ করেছেন। শনিবার রিয়ার এ্যাডমিরাল সুয়েনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর এ নিয়ে তৃতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা পেন্টাগন ছাড়লেন। বিবিসি।
পদত্যাগপত্রে সুয়েনি লিখেছেন, এটিই সঠিক সময় বেসরকারী খাতে ফিরে যাওয়ার। গত বছরের ডিসেম্বরে ট্রাম্প সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবশিষ্ট সৈন্য শিগগিরই ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পর পরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল জিম ম্যাটিস ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক জোটের মার্কিন প্রতিনিধি ব্রেট ম্যাকগার্ক পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন। ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান থেকেও সৈন্য সংখ্যা কমানোর চিন্তা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম জানিয়েছে। সিরিয়া থেকে সব সৈন্য নিয়ে যাবার কথা বললেও কবে নাগাদ তা কার্যকর হবে তা জানায়নি কর্মকর্তারা।
সুয়েনি ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে পেন্টাগনের চীফ অব স্টাফের দায়িত্বে ছিলেন। পদত্যাগপত্রে এ রিয়ার এ্যাডমিরাল দায়িত্ব পালনকালে তার সহকর্মীদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তাদের ধন্যবাদ জানালেও ট্রাম্পের নাম নেননি। এর আগে গত মাসে দেয়া পদত্যাগপত্রে ম্যাটিস সেনা প্রত্যাহার নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতবিরোধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তার দর্শন ছিল ‘মিত্রদের মর্যাদার সঙ্গে দেখা’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রের সব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে’ একটি সাধারণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা দাঁড় করানো।
পদত্যাগপত্রে এ জেনারেল ম্যাটিস এমনটাই লিখেছিলেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম। সে সময় ম্যাটিস বলেছিলেন, এসব ও অন্যান্য বিষয়ে আপনার বিবেচনার সঙ্গে খাপ খায় এমন কাউকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানানোর অধিকার আপনার (ট্রাম্প) রয়েছে। আমার মনে হয়, সরে দাঁড়ানোর এটিই সঠিক সময়।
ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
