ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকুন

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৯

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকুন

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে অবশ্য জরুরী মুহূর্তে সাড়া দেয়ার সক্ষমতা অর্জন এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে যা যা প্রয়োজন সবই করতে হবে। এএফপি ও ওয়েবসাইট। দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বন্দ্বের মধ্যেই চীন সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে। এছাড়া একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য থেকে তাইওয়ানের মর্যাদাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের তীব্র মতভেদ চলছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ক্রমবর্ধমান হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা এবং সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি ওই বৈঠক করেন। শি বলেন, সেনাবাহিনীকে অবশ্যই নতুন যুগের জন্য প্রস্তুতি এবং যে কোন সময়ে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে হবে। তিনি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও আছেন। শি বলেন, সেনাবাহিনীর যে কোন জরুরী পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এই উদ্দেশে তাদের যৌথ অপারেশন সক্ষমতা, নতুন কম্ব্যাট শক্তি বাড়ানোর কথা চিন্তা করতে হবে। তিনি বুধবার বলেছিলেন, তাইওয়ানকে পুনরেকত্রীকরণে বাধ্য করা এবং স্বাধীনতা ঘোষণা থেকে ফিরিয়ে রাখতে প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহারের অধিকার চীনের আছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া রিঅ্যাশিউরেন্স ইনিশিয়েটিভ বিলে সই দিয়ে একে আইনে পরিণত করেছিলেন। ওই আইনে তাইওয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এশিয়ায় চীনের সামরিক প্রভাব কমানো এর অন্যতম উদ্দেশ্য। বিলটি ৪ ডিসেম্বর সিনেটে পাস হওয়ার পর ১২ ডিসেম্বের কংগ্রেসে অনুমোদিত হয়। ট্রাম্প ২০১৮ সালে যে ১৩টি বিলে সই দেয়ার মাধ্যমে আইনে পরিণত করেছেন তার মধ্যে এটি সর্বশেষ। বছরের শেষ দিনে তিনি ওই বিলে সই করেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে এবার চীনও তৈরি করেছে মাদার অব অল বোম্বস। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সবচেয়ে বড় অপারমাণবিক বোমা। চীনও একই রকম শক্তিশালী বোমা বানিয়ে তার জবাব দিল। সিনহুয়া জানায়, এরই মধ্যে বোমাটির পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। এইচ-৬কে বোমারু বিমান থেকে বোমাটি নিক্ষেপ করে এর সফল পরীক্ষা চালানো হয়। গত মাসে দেশটির প্রতিরক্ষা সংস্থা চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড’ (নরিনকো) ওয়েবসাইটে ওই বোমা পরীক্ষার ভিডিও প্রকাশ করে। এর মধ্য দিয়ে চীন নতুন এই বোমার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা জনসমক্ষে প্রকাশ করে। ২০১৭ সালে আফগানিস্তাানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে এ রকম একটি বোমা ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ বোমা তারই চৈনিক সংস্করণ বলে দাবি করেছে বেজিং। এটিই এখন চীনের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী অপারমাণবিক বোমা। বোমার দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ মিটার। ওজন কয়েক টন। আকারে বড় হওয়ায় এইচ-৬কে বোমারু বিমান একবারে কেবল একটা বোমাই বহন করতে পারে। শক্তিশালী এ বোমা একটা গোটা এলাকা গুঁড়িয়ে দিতে পারে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বোমাটি শত্রুপক্ষকে হতবিহ্বল করতে সক্ষম। তবে চীনের বোমাটি যুক্তরাষ্ট্রের বোমার তুলনায় ওজনে হাল্কা বলে জানা গেছে।
×