ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

’১৮ সালে বিশ্বে বিমান দুর্ঘটনা বেড়েছে সাড়ে চার গুণ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

’১৮ সালে বিশ্বে বিমান দুর্ঘটনা বেড়েছে সাড়ে চার গুণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বব্যাপী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২০১৮ সালে ৫১ বাংলাদেশীসহ মোট ৫৫৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আকাশযান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর এ হার ২০১৭ সালের তুলনায় অনেক বেশি। তবে অতীতের অন্যান্য বছরের সঙ্গে তুলনা করলে বিশ্বব্যাপী ২০১৮ ছিল প্লেন দুর্ঘটনার নবম নিরাপদ বছর। এভিয়েশন নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (এএসএন) নামে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০১৮ সালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫৫৬ জন। আর ২০১৭ সালে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন। এ তুলনায় ২০১৮ তে আকাশ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে ১২ দশমিক ৬৩ গুণ। এএসএস প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৮ সালের ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ছিল ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের। বছরটির ২৯ অক্টোবর জাভা সমুদ্রে এ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ যায় ১৮৯ জনের। এরপর জুলাইয়ে কিউবায় প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১১২ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইরানের জাগ্রোস পর্বতমালায় প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ৬৬ জন যাত্রী। সেই সঙ্গে ২০১৮ এর মার্চে নেপালের কাঠমা-ুতে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বাংলাদেশী ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ড্যাশ-৮ বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ৫১ জন। এছাড়াও ছোটখাটো অনেক এরোপ্লেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বছরটিতে। নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক এএসএন বলছে, ২০১৮ সালে ১৫টি প্লেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দশটি দুর্ঘটনা মারাত্মক ছিল। যা গত পাঁচ বছরের সবচেয়ে মারাত্মক ২৫ দুর্ঘটনার তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও গত ২০ বছরের তুলনায় এখন কমই বিমান দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে বলা চলে-পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এএসএন প্রধান নির্বাহী (সিইও) হারো রেন্তার বলেছেন, গত ১০ বছরের তুলনায় এ পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আগে বছরে গড়ে ৩৯টি প্লেন দুর্ঘটনায় পড়ত। তার মধ্যে ২০০০ সালে ৬৪টি প্লেন বিধ্বস্ত হয়। তবে ২০১৭ সাল ছিল আকাশপথে ভ্রমণের সবচেয়ে নিরাপদ বছর। ২০১৭ তে যাত্রীবাহী কোন বিমান বিধ্বস্ত হয়নি। এছাড়া বিগত বছরগুলোর ইতিহাসে কমার্সিয়াল এয়ারলাইন্সগুলো সবচেয়ে নিরাপদে ছিল এই বছর। এদিকে বাংলাদেশে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে দেশের বাইরে ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। সেদিক থেকে ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশক কান্ট্রি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
×