ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে মাথাব্যথা নেই রোনাল্ডোর

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২ জানুয়ারি ২০১৯

ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে মাথাব্যথা নেই রোনাল্ডোর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাফল্যে ভরা ক্যারিয়ারে ব্যক্তিগত অর্জনে ভরপুর ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর শোকেস। একের পর এক ব্যক্তিগত এ্যাওয়ার্ড জিতে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কিন্তু সিআর সেভেন জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। তিনি আরও বলেছেন, দ্রুতই ফিরতে চান পর্তুগাল জাতীয় দলে। ভূরি ভূরি ব্যক্তিগত অর্জন হলেও সদ্য বিদায়ী ২০১৮ সালে ফুটবলের সর্বোচ্চ পুরস্কারগুলোর কোনটিই হাতে তুলতে পারেননি জুভেন্টাসের পর্তুগীজ তারকা। ব্যালন ডি’অর, ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ ও উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের তিনটি পুরস্কারই জিতেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মডরিচ। তবে দলের সাফল্যে ভালই অবদান রেখেছেন ৩৩ বছর বয়সী রোনাল্ডো। জুলাইয়ে জুভেন্টাসে যোগ দেয়ার আগে রিয়ালের টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ে বড় অবদান রাখেন। ২০১৮ সালে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলে করেছেন ৪৯ গোল। এপ্রিলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১১ ম্যাচে গোল করার অনন্য কীর্তি গড়েন। চলতি মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচে ১৫ গোল করা রোনাল্ডো মনে করেন, ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। মঙ্গলবার সাক্ষাতকারে রোনাল্ডো বলেন, আমি ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে মোহাবিষ্ট নই। দলকে সাহায্য করাটা গুরুত্বপূর্ণ, সবসময়, আর তাতে করে অন্য সব অর্জন আপনা-আপনিই চলে আসে। পুরস্কার জিতলে আমি খুশি হই, এটা আমি লুকাইনি। কিন্তু যদি আমি জিততে না পারি তাতে কিছু যায় আসে না। জুভেন্টাসে ভালভাবে মানিয়ে নিতে রাশিয়া বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলের বাইরে আছেন পাঁচবারের ফিফা সেরা তারকা রোনাল্ডো। তিনি সর্বশেষ পর্তুগাল দলে খেলেছেন বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে উরুগুয়ের বিপক্ষে। ওই ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যায় বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পর্তুগালের সর্বকালের সেরা গোলদাতা রোনাল্ডো এ পর্যন্ত করেছেন ৮৫টি গোল। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এরচেয়ে বেশি গোল আছে শুধু ইরানের আলি দাইয়ের (১০৯)। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৫৪ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও সিআর সেভেনের দখলে। বিশ্বকাপের আর না, জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও ফিরতে চান দ্রুতই। এ প্রসঙ্গে রোনাল্ডো বলেন, ২০১৯ সালে আমি কোচিং স্টাফদের অধীনে ফিরে যেতে চাই। সমঝোতা হয়েছিল যে আমি এই মৌসুমের প্রথম অর্ধের ম্যাচগুলোতে থাকব না। আমার বয়স এখন ৩৩। মাত্র এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ায় কাজের পদ্ধতি, সতীর্থ, স্টাফ এবং ব্যক্তিগত সূচী সব পাল্টে গিয়েছিল। সব মিলে আমি মনে করি এটা সেরা সিদ্ধান্ত ছিল। এদিকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে সুপারস্টার লিওনেল মেসি নিজের একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড দিয়েছেন। কিন্তু তার সে ছবিতে ‘কুৎসিত’ মন্তব্য করেছেন বার্সিলোনার সাবেক সতীর্থ নেইমার। তবে মন্তব্যটি নিছক মজা করেই করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। পর্তুগীজ ভাষায় কুৎসিত লেখার পর সেখানে হাসির ইমোজিও দেন। আর তাতে বেশ মজা পেয়েছেন ভক্তরা। মজার ব্যাপার সে মন্তব্যের কারণে মেসির ছবিতে অধিকাংশ ভক্তরা নেইমারকে ট্যাগ করে নানা রকম মন্তব্য করছেন। অনেকেই তাতে ‘সহমত’ লিখছেন। কেউবা তাকে আবার বার্সিলোনায় ফিরে আসার অনুরোধ করেন। বার্সিলোনায় একসঙ্গে খেলার সুবাদে দুইজনের বন্ধুত্বটা বেশ গভীর। বিশেষ করে এ দুই তারকা ও সুয়ারেজের মধ্যকার রসায়নটা ছিল বেশ আলোচিত। ক্লাবে থাকাকালীন সময়ে তার সঙ্গে তাদের অনেক মজার ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও মেসির ছায়া কাটাতে কাতালান ক্লাবের মায়া কাটিয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) পাড়ি দিয়েছেন নেইমার। এই বিষয়ে ভক্তরা মেসির পাশে থাকলেও বড়দিনের ছুটির একটি ঘটনায় নাখোশ হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতিতে জানা গেছে, বড়দিনের ছুটিতে নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় ফেরার পথে বিমানবন্দরে উপস্থিত ভক্তদের অটোগ্রাফ দেন মেসি। অনেকের সঙ্গে ছবি তোলার আবদারও মেটান। কিন্তু সবার সামনে দাঁড়িয়ে এক নারী একটি জার্সিতে অটোগ্রাফ চাইছিলেন। বারবার অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু তার দিকে নাকি ফিরেও তাকাননি মেসি। আসলে মূল সমস্যা ছিল ওই নারীর জার্সিতে। কারণ রোজারিও’র জার্সিতে স্বাক্ষর চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিওয়েল ওল্ড বয়েজের পাঁড় ভক্ত মেসি তার দিকে তাকাবেন কেন!? কারণ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রোজারিও’র সঙ্গে যে তাদের নাড়ির শত্রুতা। বুয়েনস এয়ার্সের বাইরে এ দুই দলের ম্যাচই সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
×