ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

এ বিজয় সারা বাংলাদেশের ॥ মতিয়া

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১ জানুয়ারি ২০১৯

এ বিজয় সারা বাংলাদেশের ॥ মতিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৩১ ডিসেম্বর ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নিরঙ্কুশ বিজয়কে ‘সারা বাংলাদেশের বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের কাছ থেকে বিজয়ের ফল গ্রহণের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ওই অভিমত ব্যক্ত করেন। মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ বিজয় শুধু আমার সিটে বা শেরপুরের নয়, সারা বাংলাদেশের। মানুষকে সেবা দেয়ার যে দায়িত্ব আবার অর্পিত হলো আমরা আল্লাহর রহমতে আন্তরিকতার সঙ্গে তা পালন করার চেষ্টা করব। আমরা আমাদের বিবেকের কাছে সৎ থাকব এবং মানুষের কাছে সৎ থাকব। ওইসময় তার সঙ্গে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, নকলা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, নালিতাবাড়ীর পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বাক্কার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার কামালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই সময়ের বিএনপি সভাপতির গুলিতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রশীদের শহরের মুন্সিবাজারের বাসভবনে যান। সেখানে তিনি শহীদ আব্দুর রশীদের পিতা প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী ওরফে লাল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সকালে তিনি নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সকল নিয়ম মেনেই নির্বাচন করেছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল জানার জন্য সারা পৃথিবী সার্চলাইট দিয়ে তাকিয়ে ছিল। আর শেখ হাসিনার সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে, জয় আমাদেরই। একদিন এই শেখ হাসিনার সরকারই সারা পৃথিবী আলোকিত করবে। পঞ্চম দফায় বিপুল ভোটাধিক্যে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি প্রথমেই সৃষ্টিকর্তা এবং পরে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনা যখন ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে নকলা-নালিতাবাড়ী পাঠালেন, তখন আমাকে সবাই তেমনভাবে চিনতো না। তখন ঢাকার মানুষ আর গ্রাম গঞ্জের কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে চিনতো। কিন্তু শুধুমাত্র আপনারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রেমিক ছিলেন বলেই আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছিলেন। যদিও সেসময় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারেনি। আমি বার বার অবাক হই আওয়ামী লীগের কর্মীদের কর্মকা- দেখে। এ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এতো ভাল কাজ করে থাকে, এদের দ্বারাই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে দুপুরে শেরপুর-১ আসনে বিজয়ী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ফলাফল নেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমার শেরপুরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ বিজয় তারই নিদর্শন। আমার শেরপুরের সকল স্তরের নেতাকর্মীর আন্তরিকতার ফসল এবারের বিজয়। আমি বিশ^াস করি পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৌরবোজ্জ্বল বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ আমরা কায়েম করতে পারব। ওই সময় তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
×