ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার চেষ্টা বাড়ছে

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ফ্রান্স ও ব্রিটেনের

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ১ জানুয়ারি ২০১৯

অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ফ্রান্স ও ব্রিটেনের

ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে, ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার চেষ্টাকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ পদক্ষেপ নেবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে তারা সম্মত হয়েছে। এএফপি ও বিবিসি। আগামী সপ্তাহগুলোতে দুদেশ যৌথ নজরদারির টহল ব্যবস্থা জোরদার করবে এবং মানব পাচারকারী গ্যাংগুলোর নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দিতে জোর তৎপরতা চালাবে। পাশাপাশি বিশ্বের ব্যস্ততম জাহাজ চলাচলকারী সমুদ্র পথটি অবৈধভাবে পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বিষয়টি নিয়ে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফি কাস্টানারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এরপর জাভিদ বলেন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ বন্ধ করতে সীমান্ত রক্ষায় যৌথ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে, যাতে আমাদের সীমানা ও মানুষের জীবন রক্ষা পায়। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্যকরী পদক্ষেপগুলো কিভাবে নেয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। অক্টোবর মাস থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার চেষ্টা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ করার। এর আগে জাভিদ বলেছিলেন, অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি প্রধান ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দেরি হচ্ছে বলে প্রধান বিরোধী দল ও তার নিজের দলের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ডোভার উপকূলের এমপি চার্লি এলপিক ডেইলি মেইলকে বলেন, গত দুই মাসে ছোট নৌকায় করে কেন্ট উপকূল দিয়ে দুই শ’র বেশি অভিবাসী প্রবেশ করেছে। এই সমস্যার মাত্রা অপ্রত্যাশিত। বড়দিনের সময়ে অভিবাসী প্রবেশের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বড়দিনের দিন ও ২৬ ডিসেম্বর ৪৩ জন লোককে ইংলিশ চ্যানেলে খুঁজে পেয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সীমান্ত কর্মকর্তারা কেন্ট উপকূলের তিনটি এলাকায় ২৩জন ইরানীকে খুঁজে পেয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ফরাসী কর্তৃপক্ষ সানগেটের কাছে একটি ছোট নৌকায় ১১জন অভিবাসীকে আটক করে। রবিবার কর্তৃপক্ষ ডোভারের কিংসডাউন সৈকতের কাছে ছয় ইরানীকে আটক করেছে। ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বেন রাইট বলেন, নবেম্বর মাস থেকে ২২০ জনের বেশি লোক ছোট একটি নৌকা করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। প্রতি বছর ব্রিটেনে আশ্রয় চাওয়া শরণার্থীর তুলনায় বেশি সংখ্যক লোক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। এমন সংখ্যা বড় বিচিত্র। ২০১৭ সালে ২৬ হাজার তিন শ’ ৫০জন লোক শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে। গড়ে মাসে প্রায় দুই হাজার দুই শ’ লোক আশ্রয় প্রার্থনা করে। স্থানীয় সময় সোমবার জাভিদের সভাপতিত্বে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বর্ডার ফোর্স ও ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এদিকে টুইটারে ফরাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথভাবে ইংলিশ চ্যানেলে কাজ করা নিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
×