ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উয়েফা মিশনে শুক্রবার থাইল্যান্ড যাচ্ছে মেহেদীরা

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

উয়েফা মিশনে শুক্রবার থাইল্যান্ড যাচ্ছে মেহেদীরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত অক্টোবরে নেপাল থেকে সাফ অ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দেশে ফিরেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৫ জাতীয় ফুটবল দল। এবার তাদের সামনে নতুন অথচ কঠিন মিশন। উয়েফা এ্যাসিস্ট মিনি টুর্নামেন্ট প্রজেক্টের অধীনে আগামী ১০ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডে শুরু হবে চার জাতি প্রতিযোগিতা। লীগভিত্তিক এই আসরে বাংলাদেশ ছাড়া বাকি তিন দল হলোÑ সাইপ্রাস, থাইল্যান্ড এবং মালদ্বীপ। প্রথম দিনে বাংলাদেশ খেলবে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসের বিপক্ষে। সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দল শিরোপা জিতবে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগামীকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় ঢাকা ছাড়বে মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। এতদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দল খেলেছে এএফসি এবং সাফ পর্যায়ের বিভিন্ন আসরে। কিন্তু উয়েফার কোন আসরে খেলেনি। খেলার কথাও নয়। কারণ উয়েফা হচ্ছে ইউরোপ-জোন। তবে উয়েফা সম্প্রতি তাদের মিনি প্রজেক্ট হিসেবে এই ধরনের টুর্নামেন্ট চালু করেছে। যাতে এশিয়া জোন থেকে তিন এবং ইউরোপ জোন থেকে একটি দল খেলবে। গত অক্টোবর-নবেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফের আগে অনুশীলনের খুব একটা সুযোগ পায়নি কিশোররা। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করার পরই এ দলকে অনুশীলনের মধ্যে রাখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে মেহেদীরা। সাফে খেলার অভিজ্ঞতা থাইল্যান্ডে কাজে লাগাতে চায় কিশোররা। উয়েফা মিনি টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী প্রতি দলে ১৮ ফুটবলার থাকবে। যে কারণে সাফে খেলা পাঁচ ফুটবলারÑ সাগর সরকার, আবু তালেব, রাফুল রহিম, আরিফুল হক সীমান্ত এবং লাবিবুর রহমান দল থেকে বাদ পড়েছে। বাকি যারা আছে, তাদের নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ। তিন দলের মধ্যে একমাত্র মালদ্বীপের বিপক্ষে এর আগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। এই দেশটিকে হারানোটাই পারভেজের প্রধান লক্ষ্য। বুধবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বাংলাদেশের কোচ, ‘প্রথম ম্যাচ যেন না হারি সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আর টুর্নামেন্টে আমাদের লক্ষ্য একটি জয়। সেটা মালদ্বীপের বিপক্ষে। শক্তির বিচারে সাইপ্রাস এবং থাইল্যান্ড অনেক এগিয়ে। ওখানে গেলে আমরা দলগুলোর শক্তি সম্পর্কে জানতে পারব। আমার খেলোয়াড়রা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভাল কিছুর তাড়না তাদের মধ্যে আছে।’ কিশোরদের সঙ্গে কিশোরী টুর্নামেন্টেও হবে থাইল্যান্ডে। তবে উয়েফার এ আসরে যেকোন একটি দলকে বেছে নিতে হবে। বাফুফে শেষ পর্যন্ত মেহেদীদেরই বেছে নিয়েছে। কারণ মেয়েরা যে হারে সুযোগ পায়, ছেলেরা তা পায় না। আগামী বছর এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপসহ আরও টুর্নামেন্ট আছে। সবকিছু বিবেচনা করেই এবার কিশোরদের পাঠাচ্ছে বাফুফে। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় মেহেদীরা। দলের এই অধিনায়কের ভাষ্য, ‘সাফ থেকে উয়েফা টুর্নামেন্ট ভিন্ন জিনিস, আমাদের স্যাররা ওইভাবেই ট্রেনিং করিয়েছেন। আমরা সেভাবেই খেলার চেষ্টা করব। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সবার মধ্যেই একটা আনন্দের রেশ আছে। যে কারণে বাড়ি যায়নি বলে ওই প্রভাবটা পড়েনি। ইউরোপের টিমের সঙ্গে খেলব, এখানে ভয় লাগার কিছু নেই। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে এসেছি বলে সব খেলোয়াড়ের মাঝে আত্মবিশ্বাসটা কাজ করছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়েই মাঠে নামব।’ বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ সাইপ্রাসের বিপক্ষে। এই ম্যাচ নিয়ে মেহেদীর ভাষ্য, ‘প্রথম টার্গেট সাইপ্রাস। ওই ম্যাচটি আমরা জিততে চাই। সাইপ্রাস ও থাইল্যান্ডের ভিডিও দেখেছি। আর অতীতে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলেছি বলে তাদের সম্পর্কে ধারণা আছে।’
×