ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, মিসরে ব্রিটিশ ছাত্র বিচারের সম্মুখীন

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২ ডিসেম্বর ২০১৮

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, মিসরে ব্রিটিশ ছাত্র বিচারের সম্মুখীন

মিসরে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ১৯ বয়সের এক ব্রিটিশ ছাত্রকে বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে। একটি সামরিক হেলিকপ্টারের আলোকচিত্র গ্রহণের অভিযোগ আলার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার পরিবার এ কথা বলেছে। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। মোহাম্মদ ফাতি আবুল কাসেমকে বহনকারী বিমানটি মিসরের উত্তরাঞ্চলীয় উপকুলে আলেক্সান্দ্রিয়া বিমান বন্দরে এসে পৌঁছলে কামের বিমানের মামলা দিয়ে বিমানবন্দরে একটি আলোকচিত্র গ্রহণের পর তাকে আটক করা হয়। আলোকচিত্রটিতে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে অন্তর্গত রয়েছে। ম্যানচেষ্টারে চিথাম হিলে এ লেভেলের ছাত্র আবুল কাসেমকে মিসরীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে আদালতে তোলা হবে। তার পরিবার থেকে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সামরিক সরকারের তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাকে এক মিসরীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। তারা বলেন, কায়েম বিমান থেকে বিমানবন্দরের কাসেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কোন অনুসন্ধানে একটি সামরিক বিমানের চিত্র পাওয়া যার। যে লিবিয়ায় ত্রিপোলিতে গিয়েছিল তার মাতামহীকে দেখতে। তার কাজিন শারিন নওয়াজ বলেন, কাসেম খুবই নরম মনের ছেলে। কাসেম এক লিবীয় বন্ধুর সঙ্গে কীভাবে সিক্সর গেছে এর সপ্তাহের ছুটি কাটাতে এবং বন্দরশহর আলেক্সন্দ্রিয়ার মিট বুক করেছে তার সবিস্তারে বর্ণনা দেন ত্রাণকর্মী নওয়াজ। তারা ২১ নবেম্বর আলেক্সান্দ্রিয়া বিমান বন্দরে অবতরণ করে। তাদের হোটেল বুকিং সন্দেহের সৃষ্টি হলে বাতিল করা হয় এবং কর্তৃপক্ষ তখন তাদের জন্য প্রতীক্ষা করছিল। নওয়াজ বলেন, আবুল কাসেমের ব্যাগ ও সঙ্গে থাকা সবকিছু তল্লাশি করা হয়। তল্লাসীতে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছে কাসেম। বিমানটি অবতরণের পর যে বিমান থেকে একটি আলোকচিত্র নিয়েছে। যে ভাবতে পারেনি পেছনে একটি সামরিক বিমান রয়েছে। অথচ মিশরীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখল। নওয়াজ বলেন, কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মিসরীয় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় এমন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ আনলে। নওয়াজ বুঝতে পারছেন যে, কাসেমকে এখন বিচারের সম্মুখীন করা হবে যে বিচার হবে গোপনে এবং আপিলের সুযোগ কোথায়? বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। কাসেমের পরিবার তার মুক্তির জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে এবং সহযোগিতার জন্য রাজনীতিবিদদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। কাসেমের মা বলেন, আমার সন্তান মোহাম্মদ একটি মাছিকে পর্যন্ত আঘাত করেনা, যে এতোটাই নরম মনের। করেন এ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস এফসিও বলেছে, অফিস কোন ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে পারেনা। তারপরও এফসিওয়ের মুখপাত্র বলেছেন, আমরা আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্রিটিশ নাগরিকের গ্রেফতার ঘটনার পর মিসরীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরও তথ্য নেয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের স্টাফ তার পরিবারের সহযোগিতা করছে।
×