ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সশস্ত্র বাহিনীর দেড় শতাধিক অব. অফিসারের সংহতি;###;ড. কামাল হোসেনকে শেখ হাসিনার প্রশ্ন

হত্যাকারী ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র আনতে পারবেন?

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৮ নভেম্বর ২০১৮

হত্যাকারী ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র আনতে পারবেন?

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে সশস্ত্র বাহিনীর দেড় শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঠে নামছেন। মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে তারা এই অঙ্গীকার করেন। অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে ড. কামাল হোসেনসহ কতিপয় সুশীল সমাজের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যাকারী ও দুর্নীতিবাজদের’ সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের কোন কী ধরনের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র আনতে পারবেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের এই প্রশ্ন করি। জঙ্গী-সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড ও অর্থপাচারে দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে যেসব সুশীল বাবু হাত মিলিয়েছেন তাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? তারা (ড. কামাল) গণতন্ত্রের অভাবটা দূর করতে কাদের কাছে গেল? ড. কামাল হোসেনসহ যেসব সুশীল বাবু যারা এক জায়গায় হয়ে গিয়েছেন, অনেক নীতির কথা বলেন, এখন তাদের নীতিটা কোথায় গেল? কার অধীনে তারা নমিনেশন নিচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের (তারেক রহমান) থেকে নমিনেশন নিয়ে তারা (ড. কামাল) দেশে কী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে? যারা আইনকেই মানেনি তারা নাকি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন! তারাই নাকি জঙ্গীবাদ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস দূর করবে এবং দেশের উন্নতি নাকি করবে। যারা দেশ ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছে তাদের দিয়ে কি উন্নতি হবে আমি ঠিক জানি না! অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল ওয়াদুদ, রিয়াল এডমিরাল (অব.) হারুনুর রশীদ, এয়ার কমোডর (অব.) কাজী দেলোয়ার হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ডাঃ কানিজ ফাতেমা। এর আগে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং তাঁর সঙ্গে ছবি তোলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপরও কিন্তু আমাকে যারা দুর্নীতিবাজ বলে বক্তৃতা দিয়েছেন তাদের অবস্থানটা আজ কোথায়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, কত নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। সব গেছে এমন এক জায়গায়, বলে গণতন্ত্র নাকি রক্ষা করতে হবে। ড. কামাল হোসেনসহ যেসব সুশীল বাবুরা যারা এক জায়গায় হয়ে গিয়েছেন, অনেক নীতির কথা বলেন, এখন তাদের নীতিটা কোথায় গেল? তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুটি মামলার রায়ে কারাগারে রয়েছে। তার ছেলে বিএনপির তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্নীতি, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও অর্থপাচারে দÐপ্রাপ্ত সে। এদের সঙ্গে জোট করায় ড. কামাল, মান্নাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমালোচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা দুর্নীতি দূর করবেন, তারা সন্ত্রাস দূর করবেন, দেশের মানুষের জন্য একেবারে ক্ষীরের পাহাড় আর দুধের নহর বইয়ে দেবেন, এমনই তাদের একটা ভাবসাব। তারা এখানে কোন উন্নয়নটা করতে পারবেন আর কোন গণতন্ত্রটা করতে পারবেন। সেটাই আমার প্রশ্ন। যারা সাজাপ্রাপ্ত, প্রমাণিত, বিদেশ থেকে এসে সাক্ষ্য দিতে চাইছে, তাহলে আর বাকি থাকেটা কি। তাহলে দেশটাকে কোথায় তারা নিতে চায়? আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে দলটার (বিএনপি) গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় আছে কেউ যদি দুর্নীতির কারনে কোন ক্রিমিনাল অফেন্স করে আর সাজাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সে ওই দলের সদস্যও হতে পারবে না। সেই রকম যারা একেবারে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, এতিমের অর্থ আত্মসাত করে সাজাপ্রাপ্ত, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের জন্য সাজাপ্রাপ্ত, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার কারণে সাজাপ্রাপ্ত, সেই সাজাপ্রান্তের নেতৃত্বে চলে গিয়েছেন আমাদের সুশীল বাবুরা। এই হচ্ছে বাংলাদেশের এক দুর্ভাগ্য। তাহলে আমার প্রশ্ন, গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটা কি। তারা কোন গণতন্ত্র দিতে চায় তার সংজ্ঞাটা কি। সেই সংজ্ঞাটা তো তারা বলতে পারছেন না। সেটা তো জনগণের গণতন্ত্র না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেক জ্ঞানী, গুণী, সুশীল বাবুরা আছেন। অনেক ভাল সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। নীতিকথা শোনান। অনেক কিছু যারা শোনান, আবার দেখি তাদের ব্যক্তিস্বার্থটা এত বড় যে সব মিলিত হন, নীতি বিসর্জন দিয়ে দেন। তখন তাদের ব্যক্তি স্বার্থটাই বড় করে দেখা দেয়। যেমন এই যে আপনারই স্বীকার করেন বাংলাদেশের উন্নয়ন। ৯৬ সালে খুব চেষ্টা করেছিলাম বাংলাদেশটাকে এগিয়ে নিতে। ২০০৮ এ নির্বাচনে যখন জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলাম আবার ভাবলাম দেশকে কিভাবে এগিয়ে নিতে পারব। সেই চিন্তা থেকেই কিন্তু দিন রাত পরিশ্রম করেছি। কত বাধা এসেছে একবার আপনারাই চিন্তা করে দেখেন। একটার পর একটা বাধা, প্রতিবন্ধকতা। আল্লাহর রহমত সেগুলো এক এক করে অতিক্রম করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি দেশকে। একটা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পেরেছি বলেই উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসন জারি করে দেশকে পিছিয়ে নেয়া এবং মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়ার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, যারা মানুষকে হত্যা করেছে, দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে, যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে যারা তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা কোন গণতন্ত্র চায়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলা আমি তো করিনি। তবে রাজনৈতিকভাবে কাউকে আমি কখনও কাউকে গ্রেফতার করতে চাইনি। আমি সব শক্তি দেশের উন্নয়নে লাগিয়েছি। অন্য কোন কাজে লাগায়নি। কারণ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কিছু করতে চেয়ে আমরা এনার্জি নষ্ট করতে চাই না। আমি ভেবেছি আমার যা আছে, দেশের উন্নয়নে কাজ করব। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বলেছেন সবাই মিলে নির্বাচনে কাজ করবেন। নৌকার মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। নৌকায় ভোট দিয়েই আজকে দেশের উন্নতি। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে যা দিয়েছিলাম তার চেয়ে কিন্তু বেশি করেছি। ভবিষ্যত পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা না থাকলে তো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। আর ক্ষমতা তো আমার কাছে হচ্ছে একটা সুযোগ পাচ্ছি দেশের সেবা করার, মানুষের সেবা করার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনুসরণ করার কথা পাকিস্তানিরা বললেও বাংলাদেশে কেউ কেউ এখনও পাকিস্তানের পক্ষেই বলছে। বাংলাদেশের ভাল এদের চোখেই পড়ে না। বাংলাদেশের কোন মানুষের কল্যাণ হয় সেটা চোখে পড়ে না। তাহলে কোন ভাল কাজটা তারা করতে পারবে বা করবে? প্রধানমন্ত্রী বলেন. তারা (ড. কামাল) ঐক্যজোট করে এমন একটা দুর্নীতিবাজের হাত থেকে নমিনেশন পেল দয়া-দাক্ষিণ্য নিয়ে, তারা তো বাংলাদেশের উন্নতি দেখবেই না। আমি তো সবার সঙ্গে ডায়ালগ করেছি। যতবার দেখা করতে চেয়েছে করেছি। বলেছি দেশের জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ চাই এবং নির্বাচনটা করি। কিন্তু যারা সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে তারা কখন কোন ষড়যন্ত্র করে সে ব্যাপারে সবার সচেতন থাকা উচিত। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘এরা (অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা) আপনার সঙ্গে দেখা করবেন এবং একাত্মতা প্রকাশ করবেন। এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্বাচনে যুক্ত হয়ে নির্বাচনী কর্মকাÐ আরও বেগবান করবেন। আপনি যাতে পরবর্তীতে আবার বিজয়ী হতে পারেন, সে লক্ষ্যে এরা কাজ করবেন।’ তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সামরিকবান্ধব নেতা। তাঁর কাছে আর্মড ফোর্সেস অপরিসীম গুরুত্ব পেতেন। আর ডিফেন্স একটা জাতির অলংকার, গৌরব। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক বাহিনীর প্রতি যেই দুর্বলতা দেখি, সেটা আনপ্যারালাল। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সামরিক বাহিনী বিশ্বমানের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে বা যে উচ্চতায় উঠেছে, এটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্যই বলেছি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে আসা সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১০৯ জন সেনাবাহিনীর, ১৮ জন বিমানবাহিনীর এবং ১৯ জন নৌবাহিনীর। সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিনজন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ১৮ জন, অব. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ১৯ জন, অব. কর্নেল ৭ জন, অব. লে. কর্নেল ২০ জন। এছাড়াও অব. মেজর রয়েছেন ৩৫ জন। তাছাড়া ক্যাপ্টেন ও লে. পদমর্যাদার অব. কর্মকর্তারাও রয়েছেন। নৌবাহিনীর মধ্যে অব. রিয়ার এডমিরাল ২ জন, অব.কমোডর ৭ জন, অব. ক্যাপ্টেন ৬ জন, অব. লে. কমান্ডার ১ জন, অব. ই ক্যাপ্টেন ৩ জন। বিমানবাহিনীর মধ্যে অব. এয়ার ভাইস মার্শাল ১ জন, অব. এয়ার কমোডর ২ জন, অব. ক্যাপ্টেন ৮ জন এবং অব. উইং কমান্ডার ৭ জন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে একাত্মতা ঘোষণাকারী অব. সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- লে. জেনারেল আবদুল ওয়াদুদ, লে. জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, লে. জেনারেল সাব্বির আহমেদ, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল হোসেন, মেজর জেনারেল রফিকুল আলম, মেজর জেনারেল জিএইচ মোর্শেদ খান, মেজর জেনারেল কাজী আশফাক আহমেদ, মেজর জেনারেল আলা উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, মেজর জেনারেল শিকদার মোঃ শাহাবুদ্দীন, মেজর জেনারেল আবদুল মতিন, মেজর জেনারেল মুহাম্মদ ইমরুল কায়েস, মেজর জেনারেল মুহম্মদ ফেরদৌস মিয়া, মেজর জেনারেল জাহিদুর রহমান, মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, মেজর জেনারেল আশরাফ আবদুল্লাহ ইউসুফ, মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন মিয়াজী, মেজর জেনারেল হারুনুর রশিদ ও মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ। একাত্মতা প্রকাশকারী অন্য অব. কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ মোঃ মহিউদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএইচ সালাহউদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফাম্মেল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন সাদেক (এইচ এম সাদেক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রকিবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাশিম খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মমিনুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিউল মাওলা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সেলিম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহজাহান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ইকবাল হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুল বশীর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ। অন্য অব. কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- কর্নেল এস এম শওকত আলী, কর্নেল আইনুল আজিম, কর্নেল আওলাদ হোসেন, কর্নেল আজম বজলুল হক, কর্নেল এটিএম মেসবাহ উদ্দিন সেরনিয়াবাত, কর্নেল শাহ আলম, কর্নেল আফম আহম্মদ উল্লাহ ইমাম খান, লে. কর্নেল সাইফুল হক, লে. কর্নেল খালিদ আজম, লে. কর্নেল জয়নাল আবেদীন, লে. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল, লে. কর্নেল এটিএম মহিউদ্দিন সেরনিয়াবাত, লে. কর্নেল ফকির মাহবুবুর রহমান, লে. কর্নেল শেখ আবিদুর রহমান, লে. কর্নেল সাখাওয়াত হোসাইন, লে. কর্নেল সৈয়দ আরিফুল আজম, লে. কর্নেল রাজিবুল ইসলাম, লে. কর্নেল আনিসুল হক মৃধা, লে. কর্নেল এম এম ইকবাল আলম, লে. কর্নেল আবদুন নুর খান, লে. কর্নেল জিএম জামায়াতে হোসেন, লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ, লে. কর্নেল রমজান আলী সরকার, লে. কর্নেল হারুন অর রশীদ, লে. কর্নেল কানিজ ফাতেমা সুলতানা, লে. কর্নেল এ কে এম নাজিমুল ইসলাম, মেজর সানা উল্লাহ মিঞা, মেজর মহসিন তালুকদার, মেজর আবদুল লতিফ হাওলাদার, মেজর এটিএম আবদুল হালিম, মেজর আবদুল বাকের সিকদার, মেজর মাসুদুল আলম, মেজর মহসিন সিকদার, মেজর খন্দকার হাসান বাহলুল, মেজর বনমালী রায়, মেজর ইরফানুল বারী, মেজর মাহমুদুল হক খান, মেজর এস এম মইনুল হাসান, মেজর জাহাঙ্গীর, মেজর ইমরান, মেজর মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, মেজর পরিতোষ কুমার রায়, মেজর সেলিম হাসান, মেজর মোহাম্মদ আবু তাহের, মেজর দেলোয়ার হোসেন খান, মেজর এস এম গোলাম মোস্তফা বেনজীর, মেজর জসিম উদ্দিন, মেজর আবুল কালাম মৃধা, মেজর খন্দকার আবদুল হাফিজ, মেজর সরোয়ার ইমরান মাহমুদ, মেজর মেবাশ্বিরুল ইবাদ, মেজর রেজাউল করিম, মেজর শেখ ওয়াসিউজ্জামান লেনিন, মেজর সাইফ উল আলম মোঃ আল আমীন, মেজর সামসুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, মেজর আবদুস সালাম খান, মেজর মাসুম আহমেদ, মেজর জিয়াউল আহসান সরোয়ার, মেজর ইউসুফ হোসেন, মেজর রাইসুল ইসলাম, মেজর আবু সাইদ, মেজর তছলিমা ফেরদৌস, ক্যাপ্টেন শওকত, ক্যাপ্টেন সাঈদুজ্জামান খান, ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা, ক্যাপ্টেন মঞ্জুরুল হক, লে. গুলশান আরা মুক্তা লে. জাবেদ হোসেন ও লে. কানিজা ফাতেমা। নৌবাহিনীর অব. কর্মকর্তাদের মাঝে রয়েছেন- রিয়ার এডমিরাল এ এস এম আবদুল আওয়াল, রিয়ার এডমিরাল আবুল কালাম মোহাম্মদ আজাদ, রিয়ার এডমিরাল হারুন-উর-রশিদ, কমডোর ওবায়দুল হক, কমডোর এম জিয়াউল আহসান শেখ, কমডোর এম জিয়াউল আহসান শেখ, কমোডর আবদুল মমিন মিয়া, কমোডর এ ডবিøউ চৌধুরী, কমোডর এম সামছুল কবীর, কমোডর কাজী এমদাদুল হক, কমোডর এস এস নিজাম, ক্যাপ্টেন মাহমুদুর হক চৌধুরী, ক্যাপ্টেন পাটোয়ারী জহির উল্লাহ, ক্যাপ্টেন মাকছুদুর রহমান, ক্যাপ্টেন এম ইমদাদুল হক, ক্যাপ্টেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম শাহাদাৎ হোসেন, ই ক্যাপ্টেন আবদুল জব্বার, ই ক্যাপ্টেন এম মোছলেউদ্দিন, ই কমান্ডার হরিদাস সাহা ও লে. কমান্ডার এম জালাল উদ্দীন। বিমানবাহিনীর অব. কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- এয়ার ভাইস মার্শাল কাজী নজরুল হক, এয়ার কমডোর কাজী দেলোয়ার হোসেন, এয়ার কমডোর মোস্তাক আহমেদ, গ্রæপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ খুরশীদ আলম চৌধুরী, গ্রæপ ক্যাপ্টেন এনআইএম ফেরদৌস হোসেন, গ্রæপ ক্যাপ্টেন এম আবদুর রশীদ খান, গ্রæপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলমগীর, গ্রæপ ক্যাপ্টেন ইউনুস চৌধুরী, গ্রæপ ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম, উইং কমান্ডার কাজী মুনিরুল ইসলাম, উইং কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, উইং কমান্ডার এম মোস্তাফিজুর রহমান, উইং কমান্ডার একেএম কাল উদ্দিন, উইং কমান্ডার এম আলাউদ্দিন মন্ডল, উইং কমান্ডার এম আনোয়ারুল হক, উইং কমান্ডার খন্দকার এএফএম মহিবুল্লাহ এবং উইং কমান্ডার ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
×